এনআইডির তথ্য চুরির অভিযোগে সাবেক পরিচালক গ্রেফতার, ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হ-বাংলা নিউজ: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) ডেটা সেন্টারের ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর কপি তৈরি করে দেশি-বিদেশি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি হলেন ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।

বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, এনআইডির তথ্য বিক্রির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে কাফরুল থানায় মামলা করেছেন এনামুল হক নামের একজন ব্যক্তি।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেন উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর যুগান্তরে ‘রাষ্ট্রীয় সহায়তায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা প্রশাসনকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে।

তালেবুর রহমান আরও জানান, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়, যেখানে এনআইডির তথ্য অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না। তবে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিস লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে তথ্য বিক্রি করা হয়, যা পরবর্তীতে ১৮০টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে।

কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, মামলায় জয় ও পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, এনআইডি তথ্যভান্ডার থেকে অন্তত ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি হয়েছে, যা সরকারি ই-সেবার নামে বিক্রি করা হয়। বিসিসি (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) নির্বাচনের কমিশনের তথ্যভান্ডারের সংযোগ ব্যবহার করে এই তথ্য বিক্রি করে আসছে।

এছাড়া, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ১৬৮টি তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করা হয়েছে, কিন্তু পূর্ববর্তী সময়ের তথ্যের সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *