হারুন অর রশিদের বিতর্কিত অবস্থান ও অভিযোগ

হ-বাংলা নিউজ: ২০১১ সালে জাতীয় সংসদের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় আসেন মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। এরপর থেকে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে তার নাম যুক্ত হতে থাকে।

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও এখনো গ্রেফতার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি ছোঁড়ার নির্দেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, যাদের মধ্যে হারুন অন্যতম।

২৯ আগস্ট জানা যায়, হারুন উত্তরার একটি বাসায় অবস্থান করছেন, কিন্তু সেখান থেকে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে শোনা যায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, যদিও এ খবর নিশ্চিত নয়।

হারুন অর রশিদ এক বেসরকারি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন, যেখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তার ভূমিকা ও অন্যান্য বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং তাকে অবাঞ্ছিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সরকার যখন সবাইকে কাজে যোগ দিতে বলল, তখন আমি ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম উল্লেখ রয়েছে।”

হারুন আরও জানান, ৫ আগস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয় যে ছাত্র-জনতার হাতে তিনি গণপিটুনি খেয়েছেন। তবে তিনি এই অভিযোগকে গুজব বলে খারিজ করেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি পুলিশ সদর দপ্তরে যাইনি।”

সরকারপ্রধানের (শেখ হাসিনা) বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি ছোট মানুষ।”

হারুন দাবি করেন, “আমি আমার চাকরিজীবনে মানুষের উপকার করেছি। কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারেনি।”

শেষে, তিনি মন্তব্য করেন, “আমি অনেক বড় কাজ করেছি, কিন্তু কোনো পুরস্কার পাইনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *