যে মন্ত্রের জোরে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত

ক্যারিয়ারের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তবে কিয়ারা আদভানির মন্ত্র ছিল একটাই, ‘হার না মানা’। এই মন্ত্রের জোরেই আজ বিটাউনের প্রতিষ্ঠিত নায়িকাদের একজন কিয়ারা। লাখ লাখ তরুণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নিজের এই আট বছরের ফিল্মি সফর নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু কথা বলেছেন কিয়ারা। তিনি বলেছেন, ‘আমার এই ভ্রমণের শুরুটা ছিল ব্যর্থতায় ভরা। কেউ হয়তো তখন ভাবতেও পারেননি যে আগামী দিনে আমি সাফল্য পাব। তবে আমার একটাই মন্ত্র ছিল যে কখনোই হার মানব না। আমার নিজের প্রতি আস্থা ছিল। আমার বিশ্বাস ছিল যে আমি সফলতা পাবই। আমার মধ্যে কিছু একটা আছে, তাই আমি জয় করবই। আমার মাথায় বা হৃদয়ে কখনোই ছিল না যে আমি হেরে যাব।’এই বলিউড নায়িকা নবাগতদের উদ্দেশে বলেছেন, ভয়কে কখনোই প্রশয় দেবেন না। একটা ছবি সফলতা পেল না বলে পরেরটাও পাবে না, এই ভয় যেন তাড়া না করে। সফলতম ব্যক্তির জীবনেও কখনো না কখনো অসফলতা এসেছে। কিন্তু অসফলতার জোয়ারে তাঁরা গা ভাসিয়ে দেননি। তাই আজ তাঁরা সফলতম ব্যক্তি। সবার আগে শিখতে হবে কঠিন সময়কে জয় করতে। আপনি যদি ভালো অভিনেতা হন, তাহলে আপনি কোনো না কোনো মাধ্যমে নিশ্চয় কাজের সুযোগ পাবেন।আগামী দিনে নিজের ক্যারিয়ারকে সুন্দরভাবে গোছাতে চান কিয়ারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আবার আমি নিজেকে অন্বেষণ করতে চাই। আগামী দিনে নতুন নতুন ঘরানার ছবিতে কাজ করতে চাই। এমন কিছু করতে চাই, যা সবার কল্পনার বাইরে। আমার মনে হয় যে এখন ক্যারিয়ারের এক এমন মোড়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে নিজের প্রতি আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি। আট বছর আগে আমার ছবি নির্বাচনপদ্ধতি এক রকম ছিল, এখন অন্য রকম, আবার আগামী দিনে আরও অন্য রকম হবে। অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাসও এসেছে। তাই এখন আমি ঝুঁকি নিতে সাহস পাচ্ছি। আগামী ১০ বছরে তার প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন।’সদ্যই ‘গোবিন্দা নাম মেরা’তে কিয়ারাকে দেখা গেছে। ছবিটিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম ‘সুকু’। নিজের চরিত্রটির প্রসঙ্গে কিয়ারা বলেছেন, ‘সুকু আমার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছবিতে সে ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী। তাই তার হাঁটাচলা, ওঠাবসা, আদবকায়দা একদম আলাদা। খুব দ্রুত কথা বলে সুকু। তার কথা বলার এক বিশেষ ভঙ্গি আছে। সে মারাঠি মেয়ে। তাই আমার জন্য মারাঠি কোচ রাখা হয়েছিল। তাঁর থেকে আমি মারাঠি উচ্চারণ রপ্ত করেছিলাম। পর্দায় আমার পুরোপুরি সুকু হয়ে ওঠার পেছনে যে মানুষটি ছিলেন, তিনি হলেন (পরিচালক) শশাঙ্ক খৈতান। শশাঙ্ক আমাকে দারুণভাবে পরিচালিত করেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *