হ-বাংলা নিউজ:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আরও জানান, সব ধরনের সংস্কার ও প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হতে পারে।
পরদিনই নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট আয়োজন কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্ব ভাগ করে পাঁচটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ও তদারকির দায়িত্ব পেয়েছেন কমিশনার তাহমিদা আহমদ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পেয়েছেন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইসি উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাবিষয়ক কমিটি
কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন কমিশনার তাহমিদা আহমদ। কমিটির সদস্যরা হলেন—ইসির সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মহাপরিচালক (জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ), যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্মসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২) এবং সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২)। প্রয়োজনে কমিটি অতিরিক্ত কর্মকর্তাকেও কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির দায়িত্বসমূহ:
- জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্যানেল প্রস্তুত, তদারকি ও সংশোধন;
- প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা;
- ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়;
- অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাজ।
আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি
এই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সদস্য হিসেবে থাকবেন—ইসির সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, আইডিইএ প্রকল্পের পরিচালক, যুগ্মসচিব (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্মসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২), এবং সদস্যসচিব হবেন উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২)। এই কমিটিও প্রয়োজনে অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটির দায়িত্বসমূহ:
- নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন;
- নির্বাচনে নিয়োজিত বাহিনীগুলোর কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয়;
- পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, সশস্ত্র বাহিনী ও আনসারের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়;
- ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ;
- ব্যালট ও নির্বাচনি সরঞ্জাম পরিবহন ও বিতরণে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ;
- সম্ভাব্য সহিংসতা, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার ঝুঁকি নিরূপণ এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
- অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম।
এই পদক্ষেপগুলো নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার সুসংগঠিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অংশ বলে জানা গেছে।
