হ-বাংলা নিউজ:বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে শুধু অতীতের একটি ঘটনা নয়, বরং চলমান সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করেছেন যে, যারা এই গণজাগরণের বিপক্ষে ছিল, তারা এখনও সক্রিয় এবং প্রস্তুত।
শনিবার (৩ মে) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি এসব মন্তব্য করেন। শফিকুল লিখেছেন, “জুলাই এখনো শেষ হয়নি। এটি কেবল একটি সময় নয়, এটি এক সংগ্রামের সীমারেখা, যা প্রতিদিন রক্ষা করতে হয়। যারা তখন আমাদের বিপক্ষে ছিল, তারা আজও আড়ালে আছে—তারা দেখছে, অপেক্ষা করছে, এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লেখেন, “প্রায় ৯ মাস আগে যখন আমি এএফপি থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হই, তখন মনে করেছিলাম এটি সাময়িক—মেয়াদ শেষে আবার সাংবাদিকতায় ফিরব। কিন্তু এখন বুঝি, এটি কেবল একটি চাকরি নয়, বরং একটি যুদ্ধ—দুই ভিন্ন বাংলাদেশ ভাবনার মাঝে এক সংগ্রাম।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, একদিকে আছে গণতান্ত্রিক, মুক্ত, প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন, আর অন্যদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত, চেতনার নামে ক্ষমতাকে বংশানুক্রমে ধরে রাখার অপচেষ্টা। “ভুল করো না,” তিনি সতর্ক করেন, “তুমি যখন লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবে, ওরাই ফিরবে—প্রচারণা, সহিংসতা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে।”
শফিকুল আরও লিখেছেন, “তাদের আছে লেখক, ভাষ্যকার, ইতিহাস বিকৃতিকারক—যারা রাস্তাগুলো খালি হওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু আমি শিখেছি, রাস্তাগুলো ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বাস্তব রাস্তাও না, চিন্তার রাস্তাও না।”
তিনি বলেন, যেকোনো বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ‘সত্যকে টিকিয়ে রাখা।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি বিহারিদের ইতিহাস তুলে ধরেন—যেখানে রাজাকারের সঙ্গে একাকার করে একটি জনগোষ্ঠীকে চিরকাল চুপ করে রাখা হয়েছে।
নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে শফিকুল আলম লেখেন, “জীবন আমাকে যেখানেই নিয়ে যাক, আমি রাস্তাগুলো ছাড়ব না। আমি ২০০৯ থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত নিঃস্বতা, ভয় ও দমন-পীড়নের সেই অন্ধকার সময় নিয়ে কথা বলা থামাবো না। জুলাইয়ের শহীদদের নিয়েও না।”
শেষে তিনি লেখেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্য এই লড়াই শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগত, এটি আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন। এবং এই লড়াই আমি হারতে পারি না—হারব না।”
এই বক্তব্য একটি স্পষ্ট বার্তা—জনগণের অধিকার, ইতিহাসের সত্য এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য শফিকুল আলমের অবস্থান আপসহীন।
আপনি কি চান, এই লেখাটি আরও সংক্ষিপ্ত করে খবরের হেডলাইন ফরম্যাটে তৈরি করে দিই?
শিরোনাম: “জুলাই এখনও শেষ হয়নি” — গণঅভ্যুত্থনের বিপক্ষ শক্তি নিয়ে শফিকুল আলমের সতর্কতা
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে শুধু অতীতের একটি ঘটনা নয়, বরং চলমান সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে সতর্ক করেছেন যে, যারা এই গণজাগরণের বিপক্ষে ছিল, তারা এখনও সক্রিয় এবং প্রস্তুত।
শনিবার (৩ মে) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে তিনি এসব মন্তব্য করেন। শফিকুল লিখেছেন, “জুলাই এখনো শেষ হয়নি। এটি কেবল একটি সময় নয়, এটি এক সংগ্রামের সীমারেখা, যা প্রতিদিন রক্ষা করতে হয়। যারা তখন আমাদের বিপক্ষে ছিল, তারা আজও আড়ালে আছে—তারা দেখছে, অপেক্ষা করছে, এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লেখেন, “প্রায় ৯ মাস আগে যখন আমি এএফপি থেকে এসে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হই, তখন মনে করেছিলাম এটি সাময়িক—মেয়াদ শেষে আবার সাংবাদিকতায় ফিরব। কিন্তু এখন বুঝি, এটি কেবল একটি চাকরি নয়, বরং একটি যুদ্ধ—দুই ভিন্ন বাংলাদেশ ভাবনার মাঝে এক সংগ্রাম।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, একদিকে আছে গণতান্ত্রিক, মুক্ত, প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন, আর অন্যদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত, চেতনার নামে ক্ষমতাকে বংশানুক্রমে ধরে রাখার অপচেষ্টা। “ভুল করো না,” তিনি সতর্ক করেন, “তুমি যখন লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবে, ওরাই ফিরবে—প্রচারণা, সহিংসতা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে।”
শফিকুল আরও লিখেছেন, “তাদের আছে লেখক, ভাষ্যকার, ইতিহাস বিকৃতিকারক—যারা রাস্তাগুলো খালি হওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু আমি শিখেছি, রাস্তাগুলো ছেড়ে দেওয়া যাবে না। বাস্তব রাস্তাও না, চিন্তার রাস্তাও না।”
তিনি বলেন, যেকোনো বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ‘সত্যকে টিকিয়ে রাখা।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি বিহারিদের ইতিহাস তুলে ধরেন—যেখানে রাজাকারের সঙ্গে একাকার করে একটি জনগোষ্ঠীকে চিরকাল চুপ করে রাখা হয়েছে।
নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে শফিকুল আলম লেখেন, “জীবন আমাকে যেখানেই নিয়ে যাক, আমি রাস্তাগুলো ছাড়ব না। আমি ২০০৯ থেকে আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত নিঃস্বতা, ভয় ও দমন-পীড়নের সেই অন্ধকার সময় নিয়ে কথা বলা থামাবো না। জুলাইয়ের শহীদদের নিয়েও না।”
শেষে তিনি লেখেন, “নতুন বাংলাদেশের জন্য এই লড়াই শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগত, এটি আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন। এবং এই লড়াই আমি হারতে পারি না—হারব না।”
এই বক্তব্য একটি স্পষ্ট বার্তা—জনগণের অধিকার, ইতিহাসের সত্য এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য শফিকুল আলমের অবস্থান আপসহীন।
আপনি কি চান, এই লেখাটি আরও সংক্ষিপ্ত করে খবরের হেডলাইন ফরম্যাটে তৈরি করে দিই?
