এনবিআর পুনর্গঠনে সিনিয়র সচিবের পদ চায় কর ও কাস্টমস ক্যাডার, আন্দোলনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ

হ-বাংলা নিউজ:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠন করে কর ও কাস্টমস নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিনিয়র সচিব পদ দুটি কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাওয়ার ন্যায্য দাবির পক্ষে অনড় অবস্থান নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দুইটি ক্যাডারের অ্যাসোসিয়েশন। তারা দাবি করেছে, এটি বিশেষায়িত লাইন ক্যাডার এবং অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই পদ সংরক্ষিত থাকা উচিত।

এই দাবিতে সম্প্রতি বিসিএস কাস্টমস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন জরুরি সাধারণ সভা করেছে এবং আজ শনিবার (৩ মে) বিকেলে বিসিএস কর ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন এনবিআর ভবনে অনুরূপ সভার আয়োজন করেছে।

এদিকে, আন্দোলনকে ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, কিছু বহিরাগত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী—বিশেষ করে একটি সাবেক কর কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল—আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে সেটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ওই সাবেক কমিশনার আওয়ামী আমলে দলীয় আনুগত্য ও নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এসব তৎপরতার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এমন কাউকে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে দেওয়া হবে না।

একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় এনবিআর ভবনের এক বৈঠকে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকা কিছু ব্যক্তি প্রবেশ করে নেতৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে উপস্থিত কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিহত করেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই গোষ্ঠী অতীতে নানা নাম ও পরিচয়ে সরকারকে বিব্রত করতে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছে।

তবে আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, তাদের দাবি নিছক পদ-বিভাজন নয়, বরং পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়। তাদের দাবি, সিনিয়র সচিবের পদে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে নীতি নির্ধারণ ও রাজস্ব আদায়ে কার্যকর ফল মিলবে। অতীতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে এনবিআর চেয়ারম্যান নিয়োগের উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, তাদের অনেকেই বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে দীর্ঘ সময় নিয়েছেন, ফলে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে ঘাটতি দেখা গেছে।

তারা স্পষ্টভাবে জানান, এই আন্দোলনের পেছনে কোনো ক্যাডার-গোষ্ঠী স্বার্থ নেই, বরং এটি জনস্বার্থে এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এই সরকার আমলেই দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আর সম্ভব হবে না। এজন্য তারা আশা করছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে উপদেষ্টা পরিষদে যে অধ্যাদেশ উপস্থাপন করা হবে, তাতে তাদের দাবির প্রতিফলন থাকবে।

অন্যদিকে, একটি সূত্র দাবি করেছে, কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর গোষ্ঠীগুলোকে মাঠে নামতে সহায়তা করেছেন। এতে জুনিয়র ও মধ্যপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তারা চায়, যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে কোনো ধরনের দলাদলি বা ব্যক্তি স্বার্থ না থাকুক এবং সবাই মিলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে কাজ করুক।

আপনি কি চান, এই লেখাটির একটি আরও সংক্ষিপ্ত নিউজ ব্রিফ বা সম্পাদিত নিরপেক্ষ সংবাদ শৈলীতে সংস্করণ তৈরি করে দিই?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *