মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী: ১৫ বছরে স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বিলীন হয়ে গেছে

হ-বাংলা নিউজ:

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। তিনি উল্লেখ করেন, সেই সময় কোনো ব্যক্তিত্ব কিংবা পেশাদারিত্বও ছিল না। হাসিনা সরকারের প্রতি দীক্ষা এমন ছিল যে, সবার সামনে শুধু “হায় মুজিব, হায় হাসিনা” বলে করতে বাধ্য হতে হতো। তাঁর মতে, দেশের বিভিন্ন মিশনে যেখানে হাত দেওয়া হতো, সেখানে শুধু মুজিব, হাসিনা আর নৌকার প্রতীকই দেখা যেত।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যার প্রতিক্রিয়ায় মুশফিকুল ফজল আনসারী শনিবার এসব মন্তব্য করেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, বিদেশি অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য যেমন কলম, কলমদানি, মগ, নোটবুক, চাবির রিং, ব্যাগ, পেপার ওয়েট ইত্যাদির মধ্যে সবকিছুর উপরই কেবল মুজিব এবং হাসিনার ছবি বা মুখমণ্ডল থাকতো। তিনি আরও জানান, তার ধারণা, পৃথিবীতে এমন কোনো ভাষা নেই, যেখানে বাপ-বেটির বই অনূদিত হয়নি। তার কথায়, এক কক্ষে স্প্যানিশ ভাষায় অনূদিত বইয়ে ঠাসা ছিল অসংখ্য বক্স, যেগুলো সের দামে বিক্রি করা গেলে সরকারের ট্রেজারিতে কিছু টাকা যোগ হতে পারতো। তবে সেই ঐতিহাসিক মূর্তি, যা তার আগমনের আগে স্থাপন করা হয়েছিল, তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে গোলাম মোর্তজা ফেসবুকে তার পোস্টে উল্লেখ করেন, “গতকালের পোস্টের পর মরক্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের হোমপেজের ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনেক কিছু রয়ে গেছে। মরক্কো দূতাবাসে যা ঘটেছে, তা আরও অনেক দেশে ঘটতে পারে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে, কারণ সেসব জায়গায় এখনো ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের দ্বারা দূতাবাস ভরা রয়েছে।”

এ বিষয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, “শুধু কি মরক্কো? পাবলিক ডমেইনে এখন আর কিছু বলতে চাই না, তবে আপাতত মেক্সিকোর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যানারে দ্রোহের প্রতিচ্ছবি দেখে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *