হ-বাংলা নিউজ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরকেও এর দায় নিতে হবে।
শনিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “অনেক নেতা সেফ এক্সিট নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আমরা খুনি দলের সঙ্গে কোনো আপস করব না।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে। এই পথে বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো বিশ্ব এবং দেশের জনগণ একাত্ম। দ্বিতীয় যাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা কী ধরনের বাংলাদেশ চাই তা নির্ধারিত হবে।”
জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের যে প্রতিবেদনটি এসেছে, তা পুরো বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে যে হাসিনা কিভাবে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন।”
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে, কমিশন ও সরকার তাদের সহযোগিতা দেবে।”
এর আগে, বিকাল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
