হ-বাংলা নিউজ:
ধানমন্ডি সীমান্ত সম্ভার মার্কেটের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্সে অভিনব পদ্ধতিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ চোরচক্র শোরুমে প্রবেশ করে মাত্র ৮ মিনিটে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যায়।
ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যায়। ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি চাদর দিয়ে দোকানের সামনে শেড তৈরি করে এবং অন্য একজন দ্রুত শাটারের তালা কাটে। তৃতীয় ব্যক্তি শোরুমে প্রবেশ করে ডিসপ্লে থেকে স্বর্ণালংকার বের করে একটি ব্যাগে ভরে পালিয়ে যায়।
রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার জানান, এই ঘটনায় তিন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কক্সবাজার ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫০ ভরি আট আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি জানায়, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কুমিল্লার দেবীদ্বার বাজারসংলগ্ন নিউমার্কেট এলাকা থেকে সফিক ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার মুরাদনগর থানা এলাকার একটি জুয়েলারি দোকান থেকে ২৮ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণালংকার এবং ২১ ভরি ১০ আনা স্বর্ণের গলিত অংশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাদ্দাম হোসেন নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ৩ জানুয়ারি দুপুরে ধানমন্ডি মডেল থানাধীন বিজিবি সীমান্ত সম্ভার শপিং কমপ্লেক্সের ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। শোরুমের মালিক কাজী আকাশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন, যেখানে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা চোরেরা শোরুমের তালা কেটে ১৫৯ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা।
ডিবি যুগ্ম কমিশনার আরও জানান, এ ঘটনায় আরও ৮ থেকে ৯ জন জড়িত রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া আরও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। ব্রিফিংয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এবং রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
