সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্বোধন, মানবসেবায় ভূমিকা রাখবে: প্রধান উপদেষ্টা

হ-বাংলা নিউজ:

হ-বাংলা নিউজ:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেশ কয়েকজন আলোকিত এবং উদ্যোগী ব্যক্তি মানবসেবার মনোভাব নিয়ে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়েছেন। তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ড. ইউনূস আরো বলেন, এটি এখন সিলেটের মানুষের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এটি মানুষের সেবায় একটি রোল মডেল হয়ে উঠবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি আশা করি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল কিডনি রোগীদের সেবায় নিবেদিত থাকবে এবং বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় রোগীদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হবে। সাশ্রয়ী এবং আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।”

ড. ইউনূস আরো বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ২০১৮ সাল থেকে একটি ভাড়া করা ভবনে ৫০ শতাংশ ছাড়ে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশীদ বলেন, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে ৭৬ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনও অন্তর্ভুক্ত। সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর এবং কিডনি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই হাসপাতাল নির্মাণ একটি অসাধারণ উদ্যোগ।

অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করতে অর্থনৈতিক, প্রোগ্রাম্যাটিক, টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি এবং যোগ্য উত্তরসূরি প্রয়োজন। যারা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তারা কেবল স্বপ্ন দেখেননি, বরং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কাজ করেছেন।”

কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সভাপতি প্রফেসর ডা. জিয়া উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ট্রাস্টি ফিতরাত রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-উর রশিদ, মেজর জেনারেল আজিজুর রহমান-বীর উত্তম, অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল (অব.) এম এ সালাম বীরপ্রতীকসহ অন্যান্য অতিথিরা।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়ন জুবায়ের আহমদ চৌধুরী এবং তার পরিবার এই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ১২০ শতক জমি বিনামূল্যে প্রদান করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, এবং উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। হাসপাতালটি ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট এবং এটি বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও কিডনি ফাউন্ডেশন সিলেট-এর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *