Title: সরবরাহ পর্যাপ্ত, তবে দাম বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির

হ-বাংলা নিউজ:

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে, যদিও সরবরাহ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এক সপ্তাহে ১০ টাকা ও এক মাসে ২০ টাকা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুরগি। তবে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে তার দাম কমেছে, এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫০-৬০ টাকা। পাশাপাশি শীতের সবজির দামেও কমতি দেখা গেছে, ফলে বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মাছের বাজারও কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতারা জানান, ঢাকার বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০ টাকা কম। সাদা লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং লাল লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়। গরুর মাংসের প্রতি কেজি দাম ৭৫০-৭৮০ টাকা।

কাওরান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সালাউদ্দীন বলেন, “কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা কখনো অতি মুনাফা করার জন্য দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন বিয়ের মৌসুম থাকায় দাম বাড়ানো হয়েছে, যদিও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার কথা ছিল।”

এদিকে, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার কাওরান বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এই দাম ছিল ১০০ টাকার উপরে।

কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. সোনাই আলী বলেন, “দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ানোর কারণে দাম কমছে, তবে এ সপ্তাহে দাম আরও কমবে বলে আশা করছি।”

শুক্রবার খুচরা বাজারে শীতের সবজির দামেও কমতি দেখা গেছে। বড় সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, বিচি ছাড়া শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, “বাজারে সবজির দাম কমেছে। গত বছর এই সময় দাম আরও কম ছিল। আশা করছি আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমবে।”

মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি এসেছে, কারণ সরবরাহ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না, কিন্তু এখন পাঙাশ ও তেলাপিয়া ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ২০০-২৩০ টাকায় ছিল। শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকায়, রুই ৩০০-৩৫০ টাকায়, পাবদা ৩৫০ টাকায়, কার্প ২২০-২৪০ টাকায়, সরপুঁটি ২০০ টাকায়, চিংড়ি ৮০০ টাকায়, মলা মাছ ৩৫০ টাকায় এবং শোল মাছ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নয়াবাজারের মাছ বিক্রেতা মো. মকবুল বলেন, “চাষের মাছের পাশাপাশি নদীর মাছের সরবরাহও বেড়েছে, তাই দাম কিছুটা কমেছে। শীত মৌসুমে মাছের সরবরাহ বেশি থাকে, ফলে দামও কম। তবে বিক্রি ভালো হচ্ছে না, ক্রেতা কম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *