হ-বাংলা নিউজ:
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভয়াবহ একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় পুরো জাতি হতবাক হয়ে পড়ে।
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ফ্লোরে হওয়া এই অগ্নিকাণ্ডের পর, পুরো সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি উচ্চমহল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, সচিবালয়ে আগুনের ঝুঁকি কমানোর জন্য আগের দিনগুলোতে যে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।
এটি প্রায় অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ২০২১ সালে ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার, ২০২২ সালে ৭৫ কোটি টাকার এবং ২০২৩ সালে ২৮ কোটি টাকার সংস্কার প্রস্তাব নেওয়া হলেও কোনোটিরই অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া, বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে এবং এসি, ফ্রিজ, ওভেন, রুম হিটার ইত্যাদি অনাপত্তিপত্র ছাড়াই সংযুক্ত করা হয়েছে। সার্ভিস লাইনগুলোর হালনাগাদ নিয়ে কারও কোনো উদ্বেগ নেই।
বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সচিবালয়ে যে কোনো মুহূর্তে শর্টসার্কিট থেকে ছোট বা বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে, এ ব্যাপারে কেউ সতর্ক হচ্ছে না। দুর্বল ও জরাজীর্ণ সার্ভিস লাইনগুলোর হালনাগাদ এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য জমা দেওয়া ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার প্রস্তাবসহ অনেক প্রস্তাব এখনো ঝুলে রয়েছে।
এই অবস্থায় আমাদের দাবি, ঝুলে থাকা প্রস্তাবগুলোর দ্রুত পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন করা উচিত। সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে, তা হলো সচিবালয়ের নথিগুলোর নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত? শুধু বৈদ্যুতিক সিস্টেম আপডেট করলেই হবে না, সচিবালয়ের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও কার্যকর ও আধুনিক করতে হবে।
অতিরিক্ত, বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা যথেষ্ট বিপদসংকুল। সচিবালয়ে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে, সে জন্য এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রেখে সচিবালয়ের সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে সচিবালয়ে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না এবং সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সমস্ত নথির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
