মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠনের উদ্যোগ

হ-বাংলা নিউজ:  নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠিত হবে।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা।

ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কেবল আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং কৌশলগত এবং ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর নির্মাণের মহাপরিকল্পনা পুনর্গঠিত হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে বন্দরের নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এছাড়া, এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, সরকারের উদ্দেশ্য দেশের বন্দরের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় এবং গতিশীলতা আনতে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা। এ জন্য জাইকার কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন।

উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ ও জাপান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মাণে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।”

তিনি বলেন, “এ বন্দরটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বন্দরের নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।”

ড. সাখাওয়াত হোসেন ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া, তিনি জাহাজভাঙ্গা শিল্পের পরিবেশগত মান যাচাইয়ের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করার বিষয়টি রাষ্ট্রদূতকে জানিয়ে বলেন, কমিটি শিপ রিসাইকেলিং ইয়ার্ডগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে।

উপদেষ্টা জাপান সরকারের পেশাগত ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর উন্নয়নে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব-সম্পদ ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে এবং জাইকা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।”

এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাহাজভাঙ্গা শিল্পে সহযোগিতার আগ্রহও প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাস এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *