হ-বাংলা নিউজ: সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন খবরে দাবি করা হয়েছে যে, ১৩৪ কোটি টাকা মুন্নী সাহার একাউন্টে জমা হয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন সময় ১২০ কোটি টাকা তুলে ফেলেছেন। বর্তমানে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থিতি রয়েছে ১৪ কোটি টাকা।
এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন মুন্নী সাহা নিজেই। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে এ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মুন্নী সাহা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আজ দেশের অনেকগুলো নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিকে আমার একাউন্টে কত টাকা জমা রয়েছে তা নিয়ে কিছু মিসলিডিং হেডলাইন দেখে বিস্মিত হয়েছি। অনেকেই “মুন্নী সাহার একাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা” এমন ছবি পোস্ট করে ক্লিকবেইট করছে। ‘মুন্নী সাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাউন্ট’ বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যাতে জনমনে ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে যে এই একাউন্টগুলো আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেই একাউন্টের নমিনি মাত্র। কবির হোসেন তাপস দেশের একজন পুরোনো ব্যবসায়ী, যিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বিজ্ঞাপন এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় জড়িত। ওয়ান ব্যাংক একাউন্টের লেনদেনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ওই একাউন্টে জমা হওয়া অর্থের সাথে আমি কোনোভাবেই যুক্ত নই। সেই একাউন্টটি ২০১৭ সালে খোলা হয়েছিল এবং সেখানে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।’
মুন্নী সাহা স্পষ্ট করেছেন, ‘লেখায় বলা হচ্ছে যে, ৫ আগস্টের আগে ১২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এটা আসলে ২২ বছরের বেতন বিল, ভাড়া, খরচসহ সবকিছুর লেনদেন ছিল, কিন্তু তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমি এবং কবির হোসেন তাপসের ব্যবসায়ের কোনো ঋণ খেলাপি নয়, আর যেসব ঋণ রয়েছে, সেগুলোও নিয়মিত পরিশোধ হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃপক্ষ যে কোনো ব্যক্তির হিসাব অনুসন্ধান করতে পারে এবং আমি মনে করি তাদের তদন্ত সঠিকভাবে হয়েছে। আমি, একজন সাংবাদিক হিসেবে, মনে করি বাংলাদেশের যে কোনো ব্যবসায়ীর ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।’
এছাড়াও, মুন্নী সাহা বলেছেন, ‘এভাবে যে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা হচ্ছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। আমার নামটি নমিনিতে ব্যবহার হওয়ায় এক ব্যবসায়ী ব্যক্তি সামাজিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হচ্ছেন। তবে আমি বিষয়টি blessings in disguise হিসেবে গ্রহণ করছি।’
তিনি তার পোস্টের শেষাংশে লিখেছেন, ‘যারা ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি আমি দোয়া করি যেন তারা সত্যিকারের সাংবাদিকতা শেখেন এবং দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করেন।’
এদিকে, মুন্নী সাহার বক্তব্যের পর, বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে এবং অনেকেই তার প্রতি সহানুভূতির কথা জানিয়েছেন।
