হ-বাংলা নিউজ:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ঢাকার রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অন্তত ১২৭ জনের মরদেহকে ‘গণকবর’ হিসেবে সমাহিত করা হয়েছে। এসব ‘গণকবর’ শনাক্তের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার দুপুরে, রায়েরবাজার কবরস্থানে জুলাই বিপ্লবের ‘গণকবর’ জিয়ারত ও পরিদর্শন শেষে আন্দোলনের নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সদস্য সচিব আরিফ সোহেলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন শহিদদের পরিবারের সদস্যরাও।
সমন্বয়ক রিফাত রশীদ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্দোলনের সময় রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অন্তত ১২৭ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’’
মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘‘আন্দোলনের সময় দেশব্যাপী গণহত্যা চালানো হয়েছিল। এখনও অনেক পরিবার তাদের হারানো স্বজনদের খুঁজে পায়নি। অথচ এই গণহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।’’ তিনি বলেন, ‘‘গণকবর শনাক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা ডিএনএ টেস্ট এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহিদদের পরিচয় শনাক্ত করার এবং একটি তালিকা প্রস্তুত করার দাবি জানাচ্ছি।’’
সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলো এখনও ফ্যাসিবাদকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না, বরং তারা মুজিববাদকে ধারণ করছে। আমরা এখনও বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করবে। তবে, শহিদদের রক্তের প্রতি বেইমানি যেন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’’
