হ-বাংলা নিউজ: শেষ ৫ ওভারে ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল আফগানিস্তানের, এবং অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দৃঢ় পারফরম্যান্সে সহজেই জয় নিশ্চিত করেছে তারা। এই জয়েই বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে আফগানরা সমতা আনে।
বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৮ রানের জয় লাভ করে সিরিজে সমতা আনলেও, সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি তারা। সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজাহতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯৮ এবং মিরাজের ৫৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে এই সংগ্রহটি দ্বিতীয় ওয়ানডের তুলনায় ৮ রান কম ছিল (২৫২/৭)।
রান তাড়ায় আফগানিস্তান উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায়। তবে ১২তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে গুরবাজের ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশের বিপদ বাড়ান রিশাদ হোসেন। এরপর ২২তম ওভারে মিরাজের বলে গুরবাজকে স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ হন জাকের আলী, যখন তার স্কোর ছিল ৫৬ রান। গুরবাজের থিতু হয়ে ওঠা বাংলাদেশের জন্য খরচে পরিণত হয়, আর শেষ পর্যন্ত ৩৯তম ওভারে ১২০ বল খেলে ১০১ রানে সাজঘরে ফিরেন গুরবাজ।
এরপর গুলবাদিন নাইব ফিরে গেলেও, আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং মোহাম্মদ নবি। এই দুই ব্যাটার ৪৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে জয় তুলে নেন। নবি ২৭ বল খেলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন, ৫টি চার সহ। অন্যদিকে, ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৭৭ বলে ৭০ রান করেন ওমরজাই।
এই ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ব্যাটে তার অবদানের আগে বল হাতে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সিরিজ সেরার পুরস্কার লাভ করেন মোহাম্মদ নবি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৪৬/৫ (আজমত ৭০, নবি ৩৪, গুলবাদিন ১, গুরবাজ ১০১, হাসমতউল্লাহ ৬, রহমত ৮, সেদিকুল্লাহ ১৪; রানা ২/৪০, শরিফুল ০/৬১, মিরাজ ১/৫৬, সৌম্য ০/১২, নাসুম ০/২৪, মোস্তাফিজ ২/৫০)
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৪/৮ (শরিফুল ২*, মাহমুদউল্লাহ ৯৮, নাসুম ৫, জাকের ১, মিরাজ ৬৬, হৃদয় ৭, সৌম্য ২৪, তানজিদ ১৯, জাকির ৪; ফারুকি ০/৪১, গাজানফার ০/৪৯, ওমরজাই ৪/৩৭, নবি ১/৩৭, খারোতে ০/৩৫, রশিদ ১/৪০)
