রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ১১টি পণ্য আমদানির এলসি খোলার নিয়ম সহজ করা হয়েছে

হ-বাংলা নিউজ:

ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০২৪: আসন্ন রমজান মাসে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার এবং তাদের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ১১টি পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার নিয়ম সহজ করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর। এই নিয়মে রোজা উপলক্ষ্যে অন্যান্য নির্দিষ্ট পণ্যও আমদানি করা যাবে।

বিশেষ সুবিধা হিসেবে, এসব পণ্য আমদানির জন্য ঋণ নিয়ে বাকিতে এলসি খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ৯০ দিন মেয়াদী ঋণ নিয়ে এসব পণ্য আমদানির এলসি খোলা যাবে এবং এই সুবিধা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার এক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন নিয়ম মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে এবং ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধার আওতায় এসব পণ্যের এলসি খোলা যাবে।

সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ
রমজান মাসের শুরুতে বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৬ নভেম্বর এক সার্কুলার জারি করে ১১টি পণ্যের আমদানিতে এলসি মার্জিন শিথিল করেছে। এছাড়া, এসব পণ্যের আমদানির জন্য বড় অঙ্কের এলসি খোলার ক্ষেত্রে একক ঋণসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে আমদানিতে বাড়তি ঋণ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এই পদক্ষেপের ফলে পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়বে, যার মাধ্যমে মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে থাকবে।

ঋণ সুবিধা ও ডলারের প্রবাহ
নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, আমদানিকারকরা ৯০ দিন মেয়াদী সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিট নিয়ে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর আমদানি করতে পারবেন। এসব ঋণ পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এর ফলে কোনোরকম ডলারের সংকট থাকলেও এসব পণ্যের আমদানিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। বর্তমানে কিছু ছোট ও দুর্বল ব্যাংকে ডলারের সংকট রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে সব ধরনের ব্যাংক এসব পণ্যের এলসি খুলতে সক্ষম হয়। এতে ডলারের প্রবাহ বাড়বে এবং পণ্যের আমদানিও ত্বরান্বিত হবে।

এভাবে সরকারের এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের ফলে রমজান উপলক্ষ্যে খাদ্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক হবে এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার প্রচেষ্টা সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *