হ-বাংলা নিউজ: বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০৭ নম্বর বেডে ৩.৫ বছরের শিশু ইসমাইলকে দেখা যায়। তার হাতে ক্যানোলা লাগানো, চলছে স্যালাইন, এবং সে প্রচণ্ড জ্বরে কাঁপছে। মা মরিয়ম বেগম ছেলেকে দুই কাঁথায় জড়িয়ে ধরেছেন এবং সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তিনি মাঝে মাঝে নার্সদের ডাকছেন, উদ্বেগ প্রকাশ করে ছেলের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন।
ডিউটিরত চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি ডেঙ্গু আক্রান্ত, কিন্তু প্রথমে অভিভাবকরা তা বুঝতে পারেননি। দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে শক সিনড্রোম উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
পানিশূন্যতা তৈরি হলে অনেক রোগী অচেতন হয়ে পড়ে, এবং পরিস্থিতি জটিল হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ফিভার নিয়ে রোগী আসছে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি ৩.৫ বছরের জুরাইন ইয়াসারের মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার ছেলের জ্বর গত এক সপ্তাহ ধরে। প্রথমে ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ আসলেও পরে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসকরা জানান, ছেলে শকে চলে গেছে, তবে এখন সে ভালো হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং শিশু হাসপাতাল ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে—যেমন মুগদা জেনারেল, কুর্মিটোলা, মহাখালী কোভিড হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতাল—ডেঙ্গু রোগীদের ভিড় বাড়ছে। অনেক হাসপাতাল শয্যা সংকটে দুই শিশুকে এক বিছানায় চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জ্বর সেরে যায়, কিন্তু কিছু রোগীর জন্য পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম অন্তর্ভুক্ত।
