১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালককে প্রধান বিচারপতির বাসভবন পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আইনি কাঠামোর মধ্যে এই ঐতিহাসিক স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ঢাকায় উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনগুলোর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবন অন্যতম। ১৯০৮ সালে নির্মিত এই স্থাপনার স্থাপত্যশৈলীতে মোগল ও ইউরোপীয় ধ্রুপদি স্থাপত্যের মিশ্রণ দেখা যায়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও ১৯৫০-এর দশকের শুরু থেকে এটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শতবর্ষী এই স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হলে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এর ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৬৮ সালের প্রত্নতত্ত্ব আইনের বিধান অনুযায়ী, এই বাসভবনের মালিকানা সুপ্রিম কোর্টের কাছে রেখে এটি সংরক্ষণ করা হলে তা জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম এই স্থাপনার সমৃদ্ধ ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হবে।
এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠান প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমিরুজ্জামান।
