হ-বাংলা নিউজ: নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মতামত সংগ্রহ করে সুপারিশ চূড়ান্ত করবে। কমিশন রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সুপারিশ আহ্বান করতে পারে, তবে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে। বুধবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা সবার মতামত নেব। তবে সংলাপের পদ্ধতি, তা মুখোমুখি হবে নাকি অনলাইনে হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে আলাদা আলাদা সংলাপ করার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বিশেষ করে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা আলাদা করে বসব। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে সুপারিশ তৈরি করা।”
বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে কমিশন গঠন করা হয়েছে। গতকাল নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সাত সদস্য বৈঠকে বসেন; এক সদস্য ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে এখনও নির্ধারণ হয়নি। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার আইন, নির্বাচন বিধিমালা এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে ড. বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, “আমরা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেছি এবং একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছি, যাতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারি।” তিনি বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে সংবিধান ও বিভিন্ন আইন জড়িত। আমরা এসব বিধি-বিধান পর্যালোচনা করব এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনের বিষয়েও মূল্যায়ন করব।”
তিনি আরও জানান, কিছু প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং সেগুলোকে কার্যকর করার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। “আমরা নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেব,” বলেন তিনি।
অতীত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমরা প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব এবং সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেব।”
তিনি বলেন, “এই কমিশনের কার্যক্রমের ওপর পরবর্তী নির্বাচনি রোডম্যাপ এবং নির্বাচনের সময়সূচী নির্ভর করছে, যা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।” সমতল মাঠ তৈরির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করব যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা হয়।”
