হ-বাংলা নিউজ: শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সব স্তরের কর্মকর্তারা সুশীল সেবক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নমুখী
প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে আসছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছে। সহস্র শহিদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বৈষম্যহীন এবং বঞ্চনামুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে, যা সকলের প্রত্যাশা।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন তাদের বক্তব্যে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে, “সাম্প্রতিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আমাদের বক্তব্য প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।”
তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিম্নলিখিত পাঁচটি দাবি জানায়:
১. যারা ইতোমধ্যে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাদের যথাযথ পদায়নের ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে, কারণ দীর্ঘ এক মাস অতিক্রান্ত হলেও তারা কর্মস্থলে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
২. বিগত সরকারের দোসরদের দেওয়া সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার জন্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি। এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
৩. জেলা প্রশাসক পদায়নে দুর্নীতির খবর প্রকাশ পাওয়ার পর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন আশা করছে, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে এবং প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
৪. জেলা প্রশাসক পদে কর্মকর্তাদের বাছাই প্রক্রিয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা বঞ্চিত কর্মকর্তাদের জন্য ন্যায়বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছে।
৫. নতুন প্রজন্মের চাহিদার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের পাশাপাশি অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
