হ-বাংলা নিউজ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ঘটনাগুলোর জন্য পাকিস্তান যদি ক্ষমা চাওয়ার সাহস দেখায়, তবে তা সম্পর্ক স্বাভাবিক ও সহজ করতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এ কারণে সম্পর্ক আটকে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় একাত্তরের ঘটনাগুলো স্মরণ করা হবে। যদি তারা নিজে থেকে এসব ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে সেটি ভালো, নাহলে কূটনৈতিক সম্পর্ক তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং সংকুচিত হবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। পাকিস্তানের নেতৃত্ব বিভিন্ন সময়ে একাত্তরের ঘটনাগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করে উদারভাবে ক্ষমা চায়নি। এই কারণে বাংলাদেশ থেকে সম্পর্কটি সংকুচিত হয়েছে, যা দেশের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করেছে।
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, “জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের সরকার যদি এ সাহস দেখাতে পারে, তবে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অনেক সহজ হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে নিউ ইয়র্কে বৈঠক হয়েছে। তবে সেখানে ৭১ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়নি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আনুষ্ঠানিক আলোচনার টেবিলে বিষয়টি তোলা হবে।
মুহাম্মদ ইউনূস ও শাহবাজ শরিফের বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ছিল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। সৌজন্য সাক্ষাতে কঠিন বিষয়গুলো তোলা হয় না, তবে আলোচনার সময় ৭১-কে বাদ দিয়ে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করা হবে না।
