ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলের দাবিতে রিট দায়ের

হ-বাংলা নিউজ: ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলসহ পদ্মা, মেঘনা ও অন্যান্য নদীর ইলিশ মাছ রপ্তানির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। এ রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

মাহমুদুল হাসান জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতাদের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তারা বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানির কথা স্বীকার করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব মাছ ভারতে রপ্তানি হয় এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ চোরাচালান হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্ট ও রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মার মাছ সংগ্রহ করে ফ্রিজিং করেন এবং পরে সুযোগ অনুযায়ী ভারতে রপ্তানি ও পাচার করেন। এর ফলে, বাংলাদেশের জনগণ বাজারে পদ্মার ইলিশ পায় না এবং পেলেও তার দাম অত্যন্ত বেশি থাকে, যা সাধারণ মানুষের জন্য ক্রয় করা সম্ভব নয়।

মাহমুদুল হাসান আরও উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানীনীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। রপ্তানি করতে হলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে, কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।’

তিনি বলেন, ইলিশ মাছ রপ্তানি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে এই রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে না। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। রিট পিটিশনে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলসহ বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও নদীর ইলিশ রপ্তানির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *