হ-বাংলা নিউজ: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার ৫০ দিন পূর্ণ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ন্যায়বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা জরুরি।
এদিকে, শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় ভিসার নিয়ম অনুযায়ী, কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে ৪৫ দিন থাকার সুযোগ থাকে, যা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে?
ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, “দুই দেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। তাই অনুরোধ আসলে ভারত তা খতিয়ে দেখবে, তবে এর জন্য একটি প্রক্রিয়া আছে।” তবে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শ্রীরাধা বলেন, “শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারত মনে করে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নিরাপদে থাকতে পারবেন না। তাই তাকে অবিলম্বে ফেরত দেওয়া হবে, এমন ভাবনা আমার নেই।”
এক সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক মনে করেন, শেখ হাসিনার ভারতে থাকা দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ, তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই সম্পর্ক ভাল রাখতে হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে এবং তার কাছে আর কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই। সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, “টেকনিক্যালি বলা যেতে পারে, শেখ হাসিনা স্টেটলেস। তিনি ভারতে থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন না, তবে ভারতে থাকার ক্ষেত্রে তার কোনো অসুবিধা নেই।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি শীর্ষ রাজনৈতিক বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যর্পণের আবেদন করা হলেও, তাকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
