হ-বাংলা নিউজ: গাজায় ইসরাইলের চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল।
প্রিন্স তুর্কি, যিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সৌদি আরবের সাবেক রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন, তিনি দাবি করেন যে, গাজা যুদ্ধের জন্য ইসরাইলকে অবিলম্বে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে। আল আরাবিয়াহর খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার তিনি বলেন, “গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ এবং তাদের কার্যকলাপের শাস্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন, কিন্তু কেউই তা করতে রাজি নয়।”
১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানায়, যখন ফিলিস্তিন ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইসরাইলিরা এই ঘোষণাকে আধুনিক ইসরাইল গঠনের ভিত্তি মনে করে, তবে আরব বিশ্বের একাংশ এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে।
বর্তমানে ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বি-রাষ্ট্র গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রিন্স তুর্কি। তিনি বলেন, “গাজায় সংঘাতের দায় ব্রিটেনেরও রয়েছে। গতকাল একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমি বলেছি, বেলফোর ঘোষণার কারণে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্রিটেনের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।”
১৯৭০-এর দশকে আরব দেশগুলো কিছু শিল্পোন্নত দেশের বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল ইসরাইলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে। এর ফলস্বরূপ, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল, যা বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল।
অনেক মুসলিম দেশ মনে করছে, বর্তমানেও একই উদ্যোগ নেওয়া উচিত, তবে প্রিন্স তুর্কি মনে করেন, তেল নিষেধাজ্ঞার ধারণা এই সময়ে কার্যকর হবে না।
