হ-বাংলা নিউজ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, “সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এবং অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে হবে। চাকরি মানে একটি পরিবারের স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের পথচলা।” তিনি মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
বর্তমানে পিএসসির সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা। পিএসসি জানিয়েছে যে, পরীক্ষাগুলো স্থগিত হওয়ার পেছনে অনিবার্য কারণ রয়েছে। তবে পরীক্ষাগুলো ঠিক কবে থেকে শুরু হবে সে বিষয়ে পিএসসি কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি। পিএসসি পরীক্ষাগুলো সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টের পর পিএসসি এবং অন্যান্য চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে একজন বলেন, “চাকরি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে রাজনৈতিক পরিচয় জানা বন্ধ করতে হবে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে যে দলেরই হোক, চাকরি পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে এবং যারা ধরা পড়বে তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কেউ এটা করতে সাহস না পায়।”
অন্য একজন মন্তব্য করেন, “প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ৩য় ধাপের চূড়ান্ত ফল গত ৪ মাস ধরে আটকে আছে, অথচ ১ম ও ২য় ধাপের নিয়োগ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, দয়া করে আমাদের রেজাল্ট প্রকাশ করুন। অনেকের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
আরেকজন লিখেন, “উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের নিয়োগ গত ১২ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বহু পদ খালি পড়ে আছে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন সরকারের আসার পর নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সেভাবে চলতে শুরু করেনি। তবে সরকার একটি নির্দেশনা প্রদান করলে নিয়োগ পরীক্ষাগুলো আবার শুরু হতে পারে, যা নিয়োগ জট কমাবে।