খায়রুজ্জামান মামুন, হলিউড বাংলা নিউজঃ আজ ঐতিহাসিক ৪ঠা জুলাই। ১৭৭৬ সালের এই দিনে পেনসিলভেনিয়ার প্রাদেশিক আইন সভায় অনুষ্ঠিত ২য় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের সভায় আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রটি গৃহীত হয়। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সাথে যুদ্ধ রত ১৩টি মার্কিন উপনিবেশ নিজেদের বৃটিশ শাসনের বাইরে স্বাধীন ও সার্বভৌম হিসেবে ঘোষণা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে নতুন রাষ্ট্র গঠন করে। থমাস জেফারসন ছিলেন আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রের প্রধান লেখক।সেই থেকে আড়াইশ বছরের সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্ব মোড়লের তকমা নিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে সদর্পে এগিয়ে চলেছে।সারা পৃথিবীর চোখে গনতন্ত্র, আইনের শাসন, বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত এখন এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকাকে বার আউলিয়ার দেশ বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের এমন কোন দেশ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখান থেকে মানুষ স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য এদেশে আসেনি।বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও বর্ণের এক বর্ণিল মেলবন্ধন ঘটেছে এই আমেরিকার ভূখন্ডে। তথ্যপ্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নতির যে বিষ্ময়ক উত্থান তা থেকে সমভাবে সুবিধা গ্রহন করছে সবাই। বিভিন্ন বিষয়ে টানাপোড়েন ও অসঙ্গতি থাকলেও আইনের শাসন এখানে কঠোরভাবে বিদ্যমান। রাজনৈতিক মতভিন্নতা থাকা সত্বেও রাষ্ট্রের জন্ম ও তার পেছনে কার কি ভুমিকা কিংবা কে জাতির “পিতা” এসব নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই। বলা যেতে পারে সাধারণ মানুষের কোন আগ্রহই নেই। আমেরিকার সমালোচক পৃথিবী জুড়ে অগনিত, ক্ষেত্র বিশেষ তা ন্যায় সংঙ্গতও বটে। তবে সমালোচনাকারী ব্যাক্তি বা রাষ্ট্র সমুহকে এও মনে রাখতে হবে তাদের দেশের নাগরিকদেরকেই আমেরিকা যথাযথ নিরাপত্তা, সমঅধিকার এবং সব ধরণের ন্যায্য স্বাধীনতা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত যা সমালোচনাকারী রাষ্ট্রগুলিই তার দেশের নাগরিকদের দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। আজ সেই আমেরিকার “স্বাধীনতা দিবস”। আজকের এই দিনে আমেরিকা সার্বঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
খায়রুজ্জামান মামুন
ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
