ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অক্ষা পারদশানি ভীষণ খুঁতখুঁতে। ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অক্ষার ছবির সংখ্যা তাই নেহাতই কম। আসলে হিন্দি ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ‘জামতারা’। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষা বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমার ক্যারিয়ারের মাইলফলক প্রকল্প ‘জামতারা’। আর এই সিরিজে আমি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছি, স্বপ্নেও কখনো যা কল্পনা করিনি। তবে আগামী দিনে আমি এ রকম অনেক মাইলফলক পার হতে চাই। সব সময় আমি আরও ভালো আরও ভালোর নেশায় মত্ত থাকি। আমি যদি ভাবি, আমার স্বপ্নের চরিত্র পেয়ে গেছি, তাহলে আমার ক্যারিয়ার সেখানেই থমকে যাবে।চরিত্র নির্বাচনের প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি এমন চরিত্র বেছে নিই, যা আমাকে আন্দোলিত করে। ভাবি যে দর্শক হিসেবে ছবিটি আমি দেখব কি না। আমার কাছে নতুন কোনো প্রকল্প এলে প্রথমে আমি আমার হৃদয়কে জিজ্ঞেস করি। হৃদয় সম্মতি দিলে আমি প্রকল্পটি করি। সব সময় আমার হৃদয়ের কথা শুনে এসেছি। হৃদয় যেটা চেয়েছে, আমি তা করেছি। আমি কখনো দেখি না যে প্রকল্পটি বড় কি না, তাতে কোনো সুপারস্টার আছেন কি না বা কোনো বড় পরিচালক প্রকল্পটির সঙ্গে আছেন কি না।হিন্দি ছবি শুভ ‘নিকাহ’তে এবার পুরোদস্তুর নায়িকা হয়ে আসছেন অক্ষা। ছবিটি এক মুসলিম তরুণী ও এক হিন্দু তরুণের প্রেমকথা নিয়ে। ছবিতে তারা একে অপরের সংস্কৃতি, রীতি মেনে চলবে। অক্ষা জানান যে আর দশটা হিন্দু-মুসলিম প্রেমের ছবি থেকে তাঁর এই ছবি আলাদা। ছবিটিকে ঘিরে তাই আশাবাদী এই নায়িকা। ‘আমার বিশ্বাস, শুভ নিকাহ সফল এক ছবি হবে, আর দর্শক পছন্দ করবেন,’ যোগ করলেন অক্ষা।পাঠান ছবির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অক্ষা, ‘আমি শাহরুখ খানের অনেক বড় ফ্যান। কোভিডের পর কিং খানই পেরেছেন মানুষকে হলমুখী করতে। আমি খুশি যে মানুষ ‘পাঠান’কে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন। আশা করি, আমাদের শুভ “নিকাহ” ছবিটা যেন একই ভালোবাসা পায়।’
