যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নাট্যকার খান শওকত

হ-বাংলা নিউজ: 

নিউইয়র্ক ॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ 

বাংলাদেশের রাজনীতির সংকটময় মুহূর্তে বিদেশ বিভুঁইয়ে থেকেও শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের  পক্ষে নিরলসভাবে অনলাইনে বক্তব‍্য প্রচার এবং কলমযুদ্ধে যারা অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী নাট্যকার খান শওকত। যিনি ১৯৯০ সাল থেকে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, জয় বাংলা ক্লাব ইউএসএ-র সহ সভাপতি এবং জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় শ্লোগান পরিষদের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর পূর্বে দীর্ঘ এক যুগ যাবৎ যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে পালন করেন। তার লেখা ৩৫টা নাটক নিয়ে প্রকাশিত “বঙ্গবন্ধু নাট‍্যসমগ্র” এর নাটকগুলো ২০১৮ সাল থেকে সর্বত্র প্রশংসিত। তার লেখা নাটকগুলো গত কয়েকবছর ধরে ভারত, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে মন্চস্থ হয়ে আসছে। এমনকি তার লেখা নাটকসমুহ নিয়ে গত কয়েক বছর যাবত বঙ্গবন্ধু নাট‍্য উৎসবের আয়োজন হচ্ছে নিয়মিত। 

গত ৫ আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে যাবার পর থেকে খান শওকত নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়মিত ভিডিও বার্তা ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা প্রকাশ করে চলেছেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সময়োপযোগী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ, দলীয় ইতিহাস, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, শেখ হাসিনার শাসনামল, দেশের উন্নয়ন, এবং বর্তমান সংকট মোকাবিলার যৌক্তিক রূপরেখা। গত ১৩ মাসে মাসে তিনি ২২০টা ভাষণ প্রচার করেছেন অনলাইনে। তার ভাসনগুলো নিয়ে একটি গ্রন্থ প্রকাশের চেষ্টাও তিনি করছেন। 

ভাসনগুলো আপলোড করার সময় খান শওকত বলেন, “আমার বক্তব্য শুনে নিরপেক্ষ মন্তব্য করুন। আপনার মতামত আমাদের জন্য শিক্ষনীয়। আমার বক্তব্য ভালো লাগলে শেয়ার করুন, যাতে বার্তাগুলো সবার কাছে পৌঁছে যায়। দেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রাম, এই সংগ্রামে পাশে চাই আপনাকে।” তার প্রতিটা ভাষন ১ হাজার থেকে কুড়ি হাজার মানুষ দেখেছেন। দেশ ও দলের দুঃসময়ে তার যৌক্তিক উপস্থাপনার এসব বক্তব্যে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের বাঙালিদের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। 

নাট্যকার খান শওকতের এসব অনলাইন প্রচারমূলক কর্মকাণ্ড শুধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা জোরদার করছে না, বরং তার বার্তা দেশ ও প্রবাসের বাংলাদেশিদের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে, এবং মুজিব সৈনিকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করছে। এই সংকটকালে যখন অনেকেই নিরব দর্শক, অনেকেই দল বদলে ব‍্যস্ত তখন নিউইয়র্ক থেকে তাঁর মতো প্রতিবাদী আওয়াজ শেখ হাসিনার প্রতি এক গভীর আস্থার প্রতিচ্ছবি। 

খান শওকত বলেন, সেই নবাবী আমল থেকে এ পর্যন্ত এই প্রথম একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল লরিয়েট সরকার প্রধান হয়েছেন বাংলাদেশে। জুলাই আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা ড. ইউনূসকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু গত ১০ মাসে এই সরকার তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করে দিয়েছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, এবং দেশকে বিপদজনক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় গৃহযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে, সেজন্য জনগণ ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাদেরকে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিলো সেটা সবার কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তাই পরিবর্তন দরকার। বাংলাদেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৈনিকদের পক্ষ থেকে এখন বার্তা একটাই, “জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এই আন্দোলনে আমরা একসাথে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *