হ-বাংলা নিউজ: আজ ১৬ জুলাই ২০২৫, গোপালগঞ্জে বাংলাদেশের অবৈধ ইউনুস সরকারের মদতে গণহত্যার
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে, একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন, যুক্তরাষ্ট্র। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারী মদতপুষ্ট একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জঘন্য আচরণে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ ‘ ঘোষণা দিয়ে
সেখানে যাওয়ার আয়োজন করে। তারা জাতির পিতার সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
তাদের ওই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ রুখে দিতে গোপালগঞ্জবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সাধারণ মানুষ যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অশুভ তৎপরতা পরিলক্ষন করছিলেন, তখনই সরকারী পেটোয়া বাহিনী তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মববাহিনীর গুপ্তঘাতকরা সরকারি বাহিনীর সাথে
মিশে গিয়ে অগণিত গুলি চালায়। হাসপাতালে পনের জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলেও মৃতের সংখ্যা অধিক বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন এই গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছে।
একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা এই অবৈধ দখলদার সরকার যে দেশ ও দেশের মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চায়, এই হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন না থাকার পরেও তারা সেনাবাহিনীর বিশেষ কামানে করে পালিয়েছে, নির্বিচারে গুলি চালানোর পর। এই দৃশ্য গোটা বিশ্ববাসী দেখেছেন। এই প্রটোকল এটাই প্রমাণ করে, মবের হোতারা সরকারি ছত্রছায়ায় পালিত। যারা গত প্রায় এক বছর থেকেই দেশে হত্যা ও ধর্ষণ করে যাচ্ছে।
সর্বসম্মতিক্রমে ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড.নুরুন নবী ও সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একাত্তরের মহান বিজয় গাঁথা রক্ষার প্রতীক। কিন্তু গোপালগঞ্জে উর্দি পরা বুটের নীচে নিষ্পেষিত হয়েছে যেন গোটা বাংলাদেশ! নিহত ও আহতের কোনো সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না এই খুনি সরকার। বরং তারা গোপালগঞ্জবাসীকে ‘চরম শিক্ষা’ দেয়ার হুমকি দিয়েছে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। সেনাবাহিনী যদি পক্ষপাত দুষ্ট হয়- তবে দেশে বিদেশে তাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, খুব শীগগির এই দখলদার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। এই ঘাতক সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদার আহ্বান জানায় ফাউন্ডেশন। এই রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি না পেলে বাংলাদেশের সকল অর্জন ভূলুণ্ঠিত হবে বলেও বলা হয় বিবৃতিতে। একই সাথে, বিদেশের প্রতিটি মানবাধিকার সংস্থাকে এই হত্যাযজ্ঞের বিবরণ ও জঘন্যতম আচরণের কথা লিখে জানাতেও অনুরোধ করে ফাউন্ডেশন। প্রতিটি দেশপ্রেমিক অভিবাসীকে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও আহ্বান জানানো হয়।
ড: নুরুন নবী – সভাপতি
স্বীকৃতি বড়ুয়া – সাধারণ সম্পাদক
একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন
