হ-বাংলা নিউজ:
বিশ্বের ১২০টি দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক অভূতপূর্ব পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামার কোয়ার্টারের ওরিয়েন্টেশন ২০২৫। ৯ জুলাই সকাল ১০টা দিন বেপি ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রমঅনুষ্ঠিত হয় ।নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, চীনসহবিভিন্ন দেশের শত শত শিক্ষার্থী এই মিলনমেলায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হাসান কারা বার্ক। তিনি নতুন পথচলায় শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন—
“তোমরা স্বপ্ন দেখো, আমরা তোমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাত ধরেই এগিয়ে যাব।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ বলেন—
“একজন শিক্ষার্থীর সফল জীবন গঠনে শুধুমাত্র একাডেমিক নয়, জীবনের অন্যান্য জরুরি দিকগুলোর সুষ্ঠু সমন্বয় প্রয়োজন। আমরা সেই গাইডলাইন প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা একজন শিক্ষার্থীকে স্বপ্ন দেখা থেকে শুরু করে কর্মজগতে সফলভাবে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের একাডেমিক পথ ছাড়াও জীবন গঠনের প্রতিটি ধাপে পাশে থাকবে।”
CFO ফারহানা হানিপ বলেন—
“শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে, ভালোবাসা দেয়া এবং খোঁজখবর রাখা—এই মানবিক সম্পর্কই আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান। এই পরিবারের অংশ হিসেবে আমি প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাশে আছি।
এরপর একে একে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি ও ফ্যাকাল্টি সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। F1 স্ট্যাটাসধারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা সেশন রাখা হয় যেখানে তাদের ভিসা রেগুলেশন, ইউনিভার্সিটির নিয়ম-কানুন, ও একাডেমিক প্রসিডিউর বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা দলে ভাগ হয়ে অংশ নেন ক্যাম্পাস ট্যুরে। একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরি, স্টুডেন্ট সেন্টার সহ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরে দেখানো হয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে।
ট্যুর শেষে সবাই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে—যেখানে নতুন বন্ধুত্ব আর পরিচয়ের উষ্ণতা মিশে যায় খাবারের মধুরতায়।
দুপুরের পর শুরু হয় ডিপার্টমেন্টভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন সেশন। প্রতিটি বিভাগ নিজস্ব ক্লাসরুমে তাদের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে শিক্ষাপদ্ধতি, গবেষণার সুযোগ, ও ভবিষ্যৎ কর্মপথ নিয়ে আলোচনা করে।
এই একদিনের আয়োজনটি ছিল কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—বরং ছিল একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ জীবনের জন্য একটি দিকনির্দেশনা। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এই ওরিয়েন্টেশন তাদের আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেছে।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামার ওরিয়েন্টেশন ২০২৫ শেষ হয় নতুন স্বপ্ন, নতুন বন্ধুতা এবং নতুন দায়িত্ববোধ নিয়ে—যেখানে শুরু হয় জীবনের এক নতুন অধ্যায়।
