হ-বাংলা নিউজ:চার মাস বিরতির পর সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের উদ্যোগ আবারও আলোচনায় এসেছে। সূত্র জানায়, গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে আগামী ২০ মে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পুরোনো পরিকল্পনা, নতুন করে উদ্যোগ
সরকার গত জানুয়ারি থেকেই মহার্ঘ ভাতা চালুর পরিকল্পনা করেছিল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলেও দেশের অর্থনৈতিক চাপ এবং অর্থনীতিবিদদের সমালোচনার মুখে তা স্থগিত করা হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষয়টি আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে।
অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটি ইতিমধ্যে গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেছে। সরকার এবার সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে।
বাজেট ব্যয়ের হিসাব
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের ২০ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ম গ্রেডের কর্মচারীদের ১০ বা ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
- ২০% হারে ভাতা দিলে: অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা
- ১০% (১-১০ গ্রেড) ও ২০% (১১-২০ গ্রেড): ব্যয় হবে ৬ হাজার কোটি টাকা
- ১৫% (১-১০ গ্রেড) ও ২০% (১১-২০ গ্রেড): ব্যয় হবে প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বেতন-ভাতায় বরাদ্দ রয়েছে ৮২,৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০.৪১ শতাংশ। বিভিন্ন দফায় পদোন্নতির কারণে সংশোধিত বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকা।
ইনক্রিমেন্ট হবে না
সূত্র জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা চালু হলে সরকারি কর্মচারীরা অতিরিক্ত বা বিশেষ ইনক্রিমেন্ট (৫%) পাবেন না। অর্থাৎ ভাতার বদলে বাড়তি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ থাকবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন
অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে আসন্ন বৈঠকে প্রস্তাবটি আলোচনায় তোলা হবে। অর্থ বিভাগ ইতিমধ্যে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে, যা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সিদ্ধান্ত হলে তা আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
প্রয়োজনে প্রতিবেদনটির শিরোনাম, কাঠামো বা ভাষাশৈলী আরও নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের ধরন অনুযায়ী মানিয়ে দিতে পারি।
