হ-বাংলা নিউজ:গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও বৃহত্তর লক্ষ্যে সবাই একমত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র সঙ্গে আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনর্নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। এ আলোচনা শুধুই সাম্প্রতিক প্রয়াস নয়, বরং সিপিবির দীর্ঘদিনের আন্দোলনেরই অংশ।”
আলী রীয়াজ বলেন, “কমিশনের মূল লক্ষ্য একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা, যা ভবিষ্যতের রাষ্ট্র পরিচালনার পথরেখা হিসেবে কাজ করবে। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্ধারণ করা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আলোচনার টেবিলে বিভিন্ন দলের অবস্থান ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা। আজকের আলোচনা কোনো সমাপ্তি নয়, বরং কাঠামোগত পরিবর্তনের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়ার একটি ধাপ।”
আলী রীয়াজ বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাজিত করা কেবল শুরু মাত্র। আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সামাজিক সমতার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র গঠনই চূড়ান্ত লক্ষ্য। মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু ন্যূনতম ঐক্যমতের জায়গা তৈরি করা সম্ভব বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”
সিপিবির পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও অধ্যাপক ফজলুর রহমান।
অন্যদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক এবং বিশেষ সহকারী মনির হায়দার প্রমুখ।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বাস করেন, এই ধরনের সংলাপ রাষ্ট্র গঠনের একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে অংশগ্রহণমূলক ও দায়বদ্ধ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
