নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মত বিনিময় বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিতে ল ফার্ম নিয়োগের ঘোষনা যোগ দিলেন না বিতর্কিত রেমিটেন্স ফেয়ারে

হ-বাংলা নিউজ: 

নিউইয়র্ক (ইউএনএ)। ওয়াশিংটন ডিসিতে ২-২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি নিউইয়র্ক পৌছেন। তবে গভর্নর জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত বিতর্কিত রেমিটেন্স ফেয়ারে যোগ না দিয়ে শনিবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মত বিনিময় করেছেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিনি বলেন, দেশের আর্থিক স্থিতিশীলনতা না থাকলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিতে সরকার ল’ ফার্ম নিয়োগ করা হবে।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডেপুটি গভর্ণর ড. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে গভর্ণর সভায় উপস্থিত প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। খবর ইউএনএ’র।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ঋণের কিস্তি ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সৃষ্ট জটিলতা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, কিস্তি ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আমাদের পলিসিগত কিছু মতপার্থক্য আছে। আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী

দায়িত্বের আট মাসে দেশের ব্যাংক খাতে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া রিজার্ভ চুরি, অর্থপাচার ও আর্থিক খাতের সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েকমাসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাচার হওয়া সম্পদ যত বেশি উদ্ধার করতে পারব, আমাদের হাত তত শক্তিশালী হবে।

সভায় গভর্ণর ড. মনসুর বলেন, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত কাজ করে যাচ্ছি। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বৃটেনে তারা। জড়িত কয়েকশ ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে আমা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আমরা করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে ফার্মকে হায়ার করছি। ফার্মগুলোকে আমরা তথ্য দিব। তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে টাকা পাচারকারীদের দেবার জন্য প্রবাসীদের প্রতি তিনি আহবান

জানান। তিনি বলেন, দূতাবাস ও কনস্যুলেটে তথ্য দিন। আমরা অ্যাকশন নেব। সভায় উপস্থিত প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটাও সত্যি যে, আপনারা হয়তো জানেন সম্পদ আছে। যেটা ঢাকায় জানতে পারি না। পাচারকারীরা যে

পাড়ায় সম্পদ কিনেছে সেই পাড়ার প্রবাসী জানেন যে সেটা এই তথ্যগুলো যদি আমরা সংগ্রহ করতে পারি তাহলে হয়তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো। গভর্ণর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে কি পরিমাণ অর্থ

পাচার হয়েছে এবং কিভাবে পাচার হয়েছে সে বিষয়টি নিয়ে কমিশন কাজ করছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশে বিগত সরকারের সময় পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিতে হলে সেসব দেশের আইনী প্রক্রিয়াকে মোকাবেলা । এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। যেসকল দেশে টাকা পাচার হয়েছে সেসব দেশগুলোতে লা ফার্ম এজেন্সীকে নিয়োগ দেয়া হবে। ওইসব লো ফার্ম নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার ও ফেরতে সার্বিক কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, বলেন, বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে টাকা নিতে যে সুইফট সিস্টেম রয়েছে সেটির অপব্যবহার বন্ধে ইতিমধ্যে এ সিস্টেমের পরিবর্তনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ হয়েছে। গত সপ্তাহে তাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে গিয়ে আমাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। তাদেরকে এ সিস্টেম পরিবর্তন করে অপব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। হয়েছে

ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবারতন্ত্র বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগে নির্দিষ্ট নীতিমালা করছি। এতে ব্যাংকের শেয়ার কিনে একজন ব্যক্তি পরিচালক হতে চাইলে তার সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই করবে। যদি তিনি যোগ্য হোন তাহলে তিনি পরিচালক হতে পারবেন। কিন্তু শেয়ার হোল্ডার হিসেবে কেউ চাইলেও এখন বউ, সন্তান, মেয়ের জামাইসহ না। এ সুযোগটি আমরা হ্রাস করে দিবো। ঢালাওভাবে পরিচালক করতে পারবেন

অর্থ সংকটে ব্যাংকগুলো কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট রাখা গ্রাহকরা যাতে তাদের জমাকৃত অর্থ ফেরত পান সেজন্য এগুলো চাইলেও বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাংকগুলোকে একিভূত করে সরকার থেকে ফান্ড নিয়ে ব্যাংকগুলোকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করে দেশ ও প্রবাসে বিনোয়গক…
[1:32 pm, 24/04/2025] Sanjid Alam: সংশ্লিষ্ট সকল মুসলমানদের প্রতি আমার ব্যক্তিগত খোলা চিঠি (আপনার কষ্টার্জিত অর্থ সতর্কতার সাথে সঠিক জায়গায় দান করুন)

আমমালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু,

আমি গভীর উদ্বেগের সাথে এই খোলা চিঠিটি লিখছি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দূর্নীতিপরায়ন তথা কথিত কিছু ঘদ্মবেশী লোকদের দ্বারা মসজিদ ও মাদরাসার নামে অর্থ কালেকশন নিয়ে।

আমার চিঠির সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে বাক্তি, সংস্থা এবং বিশেষতঃ সাধারণ অনগণের উপর। সতা কথা হলো, সাধারণ মানুষ এই স্বঘোষিত তথাকথিত আলেমদের হাতে চূড়ারভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। এই বাক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করা এখন অক্ররি। তা করতে বার্থ হলে এই অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হবে এবং আল্লাহভীরু নিরীহ মানুষদেরকে প্রতারণা ও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাবহার করতে থাকবে। গত কয়েক বৎসর ধরে কিছু মানুষ বৈধ ও অবৈধ বাবদা থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন। তারা অনেকে সমাজে স্বীকৃতির জন্য বড় অংকের অনুদান বিত আগ্রহী। তাদেরকে এই স্বার্থান্বেষী, সুবিধাভোগী আলেম নামধারী লোকেরা টার্গেট করে অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়োগ এবং নিচ্ছে।

এইসব সুবিধাভোগী আলেমদের নানান কৌশল থাকলেও, যে তারা ধর্মীয় মুখোশের আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখে। মাদ্রাঘাতে চাকুরীরত আছেন। মধ্যে একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও

বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মানুষদের প্রভাবিত করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে থাকে। সবচেয়ে প্রচলিত কৌশল হলো একটির পর একটি নতুন মসজিদ স্থাপন করা। সমাজে অনেক মসজিদ থাকা সমেও এই বাক্তিরা শুধুমায় নিজেদের কর্মসংস্থানের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে এবং নিজেদের জন্য বেশি অর্থলাভের পথ তৈরি করতে অতিরিক্ত মসজিদ প্রতিষ্ঠার ধান্ধা প্রভাবশালী ইমাম বা খতিবসহ তথাকথিত আলেমরা নিরীহ সাধারণ মানুষের অনেক থেকে টাকা তুলেছেন এবং ধার নিয়েছেন। চুক্তিপত্রে স্বাস্কর করার পরেও সেই ঋণ পরিশোধ করতে বা ঋণের কথা স্বীকার করতে চাননা তারা। তারা সংগ্রহ করা অর্থের সঠিক দ্বিমার দেওয়ার কোনো দায়বদ্ধতা অনুভব করেন না। এই তথাকথিত আলেমরা বিদ্যমান মসজিদ গুলোর মধ্যে কোন্দল ও উত্তেজনা তৈরি করে, করে, মুসল্লি, কমিটি এবং ইমামদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। যার ফলস্বরূপ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নতুন মসজিদ তৈরি হয়। এমনকি তারা সুদের ওপর ভিত্তি করে অর্থায়নের মাধামে নতুন দলগুলোকে মসজিদের সম্পত্তি কিনতে উৎসাহিত করতে দ্বিধা না। শুধু তাই না, ওটাকে বৈধ করার জনা ফতোয়া পর্যন্ত তৈরি করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ রাখেন, বিশেষ তহবিলের।

দ্বিতীয় প্রচলিত কৌশলটি হবো নতুন মাদ্রাসা, ইসলামিক স্কুল বা মেমিনারি প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রকল্পগুলোতে সাধারণ জনগণ লক্ষ লক্ষ ডলার দান করেছেন এবং করছেন। একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি, নীতিবোধ ও কৌশল অবলম্বনকারী এই অযোগা বাক্তিরা প্রায়শই প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে অনগণের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অনা মিথ্যা ও অবাস্তব প্রকল্প উপস্থাপন করে থাকেন। অনেক প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা তাদের পরিচালনা খরচ আেগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে, অথচ তারাই সুযোগ পেলেই নতুন মাদ্রাসা খুলতে থাকেন। তারা বাক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত

করার জন্য নিয়মিতভাবে তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে প্রায়শই তাদের পরিবারের প্রতিটি প্রাপ্তবযুদ্ধ সদস্যকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করে থাকেন। স্বরসময়ের মাধাই কে কতো বেশী বাক্তিগত সুবিধা ভোগ করবে তা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কলহ দেখা যায়। পরিতাপের বিষয় হলো কিভাবে মসজিদ, মায়াম ইসলামিক স্কুলের ব্যবস্থাপনা উন্নত করা যায়, সে সম্পর্কে তাদের কোনো আলাপ আলোচনা বা চিন্তাভাবনা কার্যত অনুপস্থিত।

এটা সত্য যে কিছু মাচানা কমিউনিটির মধ্যে অনেক ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। তবে অধিকাংশ মাদ্রাসাই দাপুটি খামখেয়ালী, স্বার্থপর এবং অযোগা বাক্তিদের দ্বারা অপব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছে, যারা প্রতারণা ও মানুষের আস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে আখের ওদিয়ে এই প্রতিষ্ঠানগুলো অচলাবস্থায় নিয়ে ওদেখে। উল্লেখ্য যে, এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে যারা শিক্ষা গ্রহণ করেছে তারা অনেকেই হয়তো বেকার অথবা আংশিক বেকার। তদুপরি শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তনের কোনো তাগিদ তাদের নেই।

আমি কমিউনিটির অনুরোধ করছি এই তথাকথিত আলেমদের পাতা মদিগুলো যেন তারা বুঝতে পারেন। আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা সঠিকভাবে সঠিক ক্যাজ লাগানো হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত না হবে আপনারা আপনাদের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের হাতে তুলে দেবেন না। আমি আপনাদেরকে পরামর্শ দিদি প্রকরে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করবেন

কাথাকাথি কোনো মসজিদ মাদ্রাসা আথে কি? স্থানীয় লোকেরা জড়িতো আখেন কিনা? তারা কেন বিদ্যমান মসজিদ বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগ দিতে পারে না বা যোগ দিচ্ছেনা? সংস্থাটির কি কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে, এবং তারা কি সংস্থার আর্থিক প্রতিবেদন সরবরাহ করে? অনুমোদিত স্বাক্ষরকারী কারা?

তারা কি অন্য কোনো মসজিদ পরিচালনা করছেন? যদি করেন, তাহলে দয়া করে সেটির নাম এবং ঠিকানা আনুন। জেনে নিন তারা কতটাকা বর্তমানে তাদের অ্যাকাউন্ট কতটাকা আছে? নিয়েছেন এবং পরিশোধ করেছেন কিনা?

তাদের মসজিদের আর্থিক অবস্থা কেমন? তাদের কি কোনো তারা বর্তমানে আর কতগুলো মসজিদ পরিচালনা করছেন, এবং অড়িত আছে? আছে?

তাদের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য কি? তাদের নতুন মসজিদ বা মাদ্রাসার বোর্ডে আছেন?

মসজিদ মাদ্রাসার কোন সম্পত্তি আছে কিনা, সেটা

বিনীত: আব্দুল আজিজ ভূঁইड़ा।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *