হ-বাংলা নিউজ:
২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকার কল্যাণপুরে ‘জাহাজবাড়ি’ নামক একটি বাড়িতে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ইসলামিক ভাবধারার ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মিসকেস) দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (২৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।
গত ৬ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের তিন পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য পুলিশের এই কর্মকর্তারা ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এই মামলায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল এবং পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ মে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ‘জাহাজবাড়ি’ নামে একটি বাড়িতে ৯ তরুণকে আটক করে সোয়াতসহ সিটিটিসি তাদের বাসার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে যে, এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তারা অনেক দিন ধরে ডিবি হেফাজতে ছিল। তাদের রাতের বেলা ওই বাড়িতে নিয়ে এসে ব্লক রেইডের নামে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের গুলি করে হত্যা করেন এবং জঙ্গি হত্যার নাটক তৈরি করেন।” তিনি উল্লেখ করেন, সে সময় জঙ্গি নাটক একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং ইসলামী ভাবধারার মানুষদের জঙ্গি বলে হত্যার মাধ্যমে একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল।
