হ-বাংলা নিউজ:
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ পড়া, যৌন হয়রানি, যৌন সহিংসতা ও অন্যান্য বহুমাত্রিক বিপন্নতায় ভুগছেন তারা। এই পরিস্থিতি থেকে নারীদের মুক্ত করতে প্রয়োজন জনসচেতনতা, নীতি নির্ধারকদের সদিচ্ছা, পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক পরিকল্পনা গ্রহণ, নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাতক্ষীরা জেলার যৌথ উদ্যোগে ‘বেইজিং+ ৩০ জলবায়ু পরিবর্তন এবং নারীর বিপন্নতা’ শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বক্তারা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ৯ মার্চ সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানারা বেগম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেখা সাহা, সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অ্যাড আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, পারভীন ইসলাম, কেয়া রায়সহ অন্যান্যরা। মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জোৎস্না দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আলী নুর খান বাবুল, সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস, আজমিরা খাতুন প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশে এক থেকে দেড় কোটি মানুষ বড় শহরগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা, নদী ভাঙন ও বন্যার মতো দুর্যোগের কারণে সাতক্ষীরা জেলার অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ঢাকা ও খুলনার মতো শহরে আশ্রয় নিয়েছে। এই বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন, যারা বস্তিতে বসবাস করছেন এবং গার্মেন্টস, ইটভাটা ও গৃহকর্মীর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এর ফলে তারা কম মজুরি, অনিরাপদ কর্মপরিবেশ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
