হ-বাংলা নিউজ: পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বহুল আলোচিত ডাটা অ্যান্ড পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার তাকে বরখাস্ত করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন বাহিরগমন-৪ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বরখাস্ত আদেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খান বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছে। এর ফলে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা মোতাবেক তাকে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এদিকে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলাটি দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর দুদক তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, যেখানে তিনি নিজ নামে ৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ টাকার সম্পদ ঘোষণা করেন। তবে, তদন্তে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৮ টাকার বৈধ সম্পদ পাওয়া গেলেও ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৩ টাকার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় নিয়মিত মামলা করা হয়।
