হ-বাংলা নিউজ:
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ ২০২৪ সালে তালিকায় যুক্ত হওয়া ভোটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। নতুন তালিকা প্রকাশ উপলক্ষ্যে রোববার জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন করা হবে।
এবারের জাতীয় ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দিব মিলেমিশে।” ভোটার দিবস উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এবং মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হয় এবং আজ এই দিনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
ইসি জানায়, আজ সকাল সোয়া ৯টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে জাতীয় ভোটার দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা বের হবে, এরপর বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের বেইজমেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কয়েকজন ভোটারের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে, এমনটি জানানো হয়েছে ইসির জনসংযোগ শাখা থেকে।
২ জানুয়ারি খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। ওই তালিকায় ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হন। সেই অনুযায়ী, দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২, এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩, নারী ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ এবং হিজড়া ভোটার ৯৯৪ জন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি শেষে নতুন ভোটারের সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজও চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ৫১ লাখের মতো নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে জন্মগ্রহণকারী, তবে এখনও ভোটার না হওয়া নাগরিকদের এ তালিকায় যুক্ত করা হচ্ছে, এবং মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ সম্পন্ন হবে এবং ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে এটি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।