হ-বাংলা নিউজ: র্তমান বিশ্বের সামরিক ও বাণিজ্যিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়সহ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও গভীরভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বহিঃসম্পর্কের প্রতিটি পদক্ষেপে দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানেও সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজ (বিআইপিএস)।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশ বহিঃসম্পর্কে নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাসিনা প্রশাসন ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাণিজ্য, ভৌত ও ডিজিটাল সংযোগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতায় পাশে পেয়েছে। তবে পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস এবং অসম বাণিজ্য চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করা প্রয়োজন। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে বাংলাদেশের স্বার্থে এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, কোন দেশের পররাষ্ট্রনীতি যদি দেশপ্রেমিক সরকার পরিচালিত না করে, তবে তা দেশের জন্য কখনোই লাভজনক হবে না।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আফজাল এইচ খান বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে তা দেশীয় পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সঠিক পথে চলতে শুরু করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম প্রমুখ।
