হ-বাংলা নিউজ: নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংবিধান রচনার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই শুরু করেছেন।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ তথ্য জানান।
নাসীরুদ্দীন বলেন, “এই মাসেই বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের একটি বড় দল আসছে। জনমত জরিপের কাজ এখন চলছে। আজ আমরা আমাদের রাজনৈতিক লাইনটি স্পষ্ট করেছি (জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে)।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের বৈঠকে আমরা বলেছি, আমাদের দলের রাজনৈতিক লাইন হবে নতুন সংবিধান রচনার জন্য লড়াই করা। আমরা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদকে মুক্ত করেছি। ভবিষ্যতে যেন কোনো ফ্যাসিবাদ আবার বাংলাদেশে না আসে, সেজন্য আমরা ফ্যাসিবাদের কফিনে শেষ পেরেক মারতে নতুনভাবে প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক দলের সামনে ঘোষণা করেছি যে, নতুন সংবিধান রচনার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছি।”
নাসীরুদ্দীন নতুন দল গঠনের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “সরকার সংস্কারের আনুষ্ঠানিক লড়াই শুরু করেছে, আমরা নতুন সংবিধানের লড়াই শুরু করেছি। আমরা যে বিষয়গুলো বলেছি, জুলাই চাটার্ডকে একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রণয়ন করতে হবে, যাতে পরবর্তীতে যে সরকার আসবে তারা বাধ্যবাধকতার মধ্যে তা চালিয়ে যেতে পারে।” তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি নিহিত হবে যদি আমরা একটি নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারি, কারণ ১৯৭২ সালের সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্র সম্ভব নয় এবং দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা, জনগণের ঐক্য দিন দিন ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে একটি বিচার প্রক্রিয়া জনগণের সামনে উন্মুক্ত ও দৃশ্যমান করা যায়। আমরা বলেছি, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে, এবং সংস্কারের কাজগুলোও একই সময়ে চলতে পারে। আমরা দৃপ্ত কণ্ঠে এসব বিষয় সব দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। বাংলাদেশের শেষ মুক্তির লড়াই এবং ভবিষ্যৎ একমাত্র গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান উপহার দেওয়ার মাধ্যমে সম্ভব।”
