হ-বাংলা নিউজ: রাজধানীর গ্রিনরোডে অবস্থিত ভিশন আই হসপিটাল দুইজন গুরুতর আহত ছাত্র-জনতার চোখে কর্নিয়া সংযোজন করেছে। এ তথ্য মঙ্গলবার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে তাদের দৃষ্টি হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ স্থায়ীভাবে, কেউবা জটিল রেটিনা ও কর্নিয়া ক্ষতের কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৭৪ জনের চিকিৎসা দিয়েছে ভিশন আই হসপিটাল।
এছাড়া, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ প্রটোকল পার করে ৬ ফেব্রুয়ারি কর্নিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পর রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তরিকুল ইসলামের ডান চোখ এবং পারভীনের বাম চোখে কর্নিয়া সংযোজনের পাশাপাশি লেন্স সংযোজন করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই অপারেশনটি করেন কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মাসদুল হাসান, তাকে সহযোগিতা করেন কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. আবির বিন সাজ্জ। অপারেশনের খরচ (কর্নিয়া ব্যতীত) বহন করেছে ভিশন আই হসপিটাল। রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফেডারেশন অব ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (ফিমা সেভ ভিশন, ফিমা) এর পরিচালক ড. ইন্তেজার হোসাইনের (পাকিস্তান) মাধ্যমে শ্রীলংকার পুত্তালামের কুয়েত হাসপাতালের সহযোগিতায় শ্রীলংকা আই ডোনেশন সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে নিউইয়র্ক প্রবাসী হাফিজুর রহমান এই দুজনের কর্নিয়া আনার ব্যয় স্পনসর করেন। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং রাজধানীর বনানীর স্থায়ী বাসিন্দা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, জুলাই বিপ্লবে মারাত্মকভাবে চক্ষু ক্ষতিগ্রস্ত ৬৪ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাদের মধ্যে ৮ জনের চোখের রেটিনা ক্ষত সেরে উঠলে কর্নিয়া সংযোজনের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে। তাদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম ও পারভীনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্নিয়া সংযোজন করা হয়েছে।
