হ-বাংলা নিউজ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিঃশেষ করতে ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মাসের মধ্যে প্রস্তুত হবে।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের সঙ্গে এক আলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আশা করছি, এই মাসের মধ্যে একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে। এরপর আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলে কিছু মাসের মধ্যেই মামলা অনুযায়ী একে একে বিচার সম্পন্ন হবে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘কোনো শাসকগোষ্ঠী যেন এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস না পায়, তার জন্য নিরপেক্ষতার সাথে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে সচেষ্ট।’
তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে এ বিচার সম্পন্ন করার জন্যও কাজ করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, যারা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন, তারা অধিকাংশই অর্থবিত্তের মালিক। বিগত সরকারের সময়ে নানা উপায়ে তারা বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেছে। দেশের এবং বিদেশে তারা প্রপাগান্ডা চালিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। তবে দেশের ১৮ কোটি জনগণ ও ছাত্র-জনতা তাদের প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং ট্রাইব্যুনাল ভবনকেও এই মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনটি সংস্কারের আগে অনেকটা জরাজীর্ণ ছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রায় ৩ শতাধিক অভিযোগ তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের কাছে জমা পড়েছে। ১৭টি মামলায় ১১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৫ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমে ১৪ জন প্রসিকিউটর এবং ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা যুক্ত রয়েছেন বলে তিনি জানান।
