মেক্সিকান গোলকিপার কি সত্যিই ভাবতে পেরেছিলেন? ওচোয়া তো বরং ‘বিশ্বসেরা মেসি’র বিরুদ্ধে খেলে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটে গেল!
ম্যাচের প্রথম এক ঘণ্টা নিজের ছায়া হয়ে থাকা মেসি আচমকাই ওচোয়াকে ফাঁকি দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে, তাও ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে। সেই গোলের এমনই মাহাত্ম্য, ওচোয়ার ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ আর পরাস্ত হওয়ার গল্পটা হয়ে গেল গৌণ। মুখ্য তখন আরেকটি কীর্তি গাঁথা জন্মের। একটি দেশের নিবতে চলা বিশ্বকাপ-স্বপ্নের বাতিটা যে ওই এক গোলেই চট করেই জ্বলজ্বলে হয়ে উঠল!
‘জয় ছাড়া গতি নাই’ মন্ত্রে মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে নামার পর প্রথমার্ধ পর্যন্তও ব্যাপারটা ছিল একই। কিন্তু ভোজভাজির মতো হুট করেই যেন মঞ্চের পরিবেশটা পাল্টে গেল। পাল্টে দিলেন মেসি। আনহেল দি মারিয়ার পাসটি এসেছিল ডি বক্সের বাইরে, সোজাসুজি গোলমুখে। দূরত্ব ২০ গজ, সামনে মেক্সিকোর তিন ডিফেন্ডার। এদিক-ওদিক না তাকিয়ে ভরসা রাখলেন নিজের বিশ্বস্ত বা পা-টায়।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখতে হলে তাঁকেই কিছু একটা করতে হবে, এটা নিশ্চয়ই লিওনেল মেসি জানতেন। মেসি করলেনও। মেক্সিকোর রক্ষণ ভাঙ্গা যখন দুঃসাধ্য মনে হচ্ছিল, তখন দুর্দান্ত এক গোল করলেন। পরে ম্যাচের শেষদিকে তাঁর পাস থেকেই দারুণ আরও একটা গোল করলেন এনজো ফার্নান্দেসও।
লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচটা আর্জেন্টিনা জিতল শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে। যে জয় আর্জেন্টিনা ও মেসিকে টিকিয়ে রাখল বিশ্বকাপেও। পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটা জিতলেই এখন পরের রাউন্ড নিশ্চিত আর্জেন্টিনার। সুযোগ থাকবে ওই ম্যাচটা ড্র করলেও।
