হ-বাংলা নিউজ: সম্মেলনের ফাঁকে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগের সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশে তথ্য যাচাই এবং ডিজিটাল যাচাই কার্যক্রম আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ধনী ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদরা তার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ ডলারের সম্পদ লুট করেছেন।” তিনি আরও জানান, “এখন এই ব্যক্তিরা তাদের সম্পদ ব্যবহার করে বাংলাদেশে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন।”
নিক ক্লেগ, যিনি ইংল্যান্ডের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ, তাই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক বাংলাদেশে তথ্য যাচাই ও ডিজিটাল যাচাই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।” তিনি আরো জানান, “যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের তথ্য যাচাই বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে না।”
নিক ক্লেগ আরও বলেন, “ফেসবুক বাংলাদেশে তাদের ডিজিটাল যাচাই কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে এবং ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করার পথ খুঁজবে, যা উইকিপিডিয়ার কার্যক্রমের অনুরূপ হবে।”
প্রায় ত্রিশ মিনিটের এই বৈঠকে, নিক ক্লেগ মেটার পক্ষ থেকে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদানের প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, “আমাদের এ বিষয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “সম্প্রতি চালু হওয়া আমাদের ওপেন সোর্সড লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এআই), এলআইএএমএ, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। আশা করছি এটি বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হবে।”
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে এলআইএএমএ’র ওপর এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।”
বৈঠকে মেটার পলিসি প্ল্যানিং ডিরেক্টর প্রবীর মেহতা, বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
