হ-বাংলা নিউজ:পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্তব্য করেছেন, যদি কোনো উপদেষ্টা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে যুক্ত হন, তাহলে তারা সরকারের অংশ হিসেবে থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে, নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবিসি বাংলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের পর নির্বাচন, নতুন রাজনৈতিক দল, এবং নিরপেক্ষ সরকার বিষয়ক আলোচনা উঠে আসে।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমি বক্তব্যের মূল নির্যাস যেটা বুঝেছি, তা হলো- সরকার যেন নিরপেক্ষতা হারিয়ে না ফেলে। আমি মনে করি, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সরকারের নিরপেক্ষতা হারানোর কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে গঠিত সরকার, যা তত্ত্বাবধায়ক নয়, বরং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত সরকার, এবং এই আন্দোলনে সরাসরি জড়িত ও নেতৃত্ব দেওয়া গোষ্ঠী থেকে তিনজন প্রতিনিধি আমাদের মধ্যে আছেন। তারা দল গঠন বা নাগরিক কমিটিতে থাকছেন, এটি কিছুই নয়। যদি তারা নতুন কোনো দল গঠনে যুক্ত হতে চান, তবে তাদের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে।”
তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “যদি কেউ দল গঠন করতে চান, তবে তারা সরকার থেকে চলে যাবেন এবং তারপর দল গঠন করবেন। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আমি বলব, সে সম্পর্কে কোনো সুযোগ নেই।”
রাজনৈতিক দল গঠনে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করছে—এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকার কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করবে? আমি কোনো ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা থাকত, তাহলে আমি তা দেখতাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি এমন কিছু দেখিনি।”
তিনি আরও বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সব রাজনৈতিক দল ছিল, কিন্তু আমরা সেখানে ছিলাম না। নির্বাচিত এবং মনোনীত প্রতিনিধি হওয়ার পর, যারা আন্দোলন করেছেন, তারা সবার আগে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তাদের মধ্যে কেউ দল গঠন করেন, তাহলে তারা আর সরকারের অংশ থাকবে না।”
