হ-বাংলা নিউজ: আদালত সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সহযোগী মারুফ হোসেন মুকুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে করা মামলায় বুধবার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর তুরাগ থানা এলাকার বাদল খলিফা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন, এবং পরে আদালত এটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে মামলা রেকর্ড করতে আদেশ দেয়। এই মামলায় মারুফ হোসেন মুকুল এজাহারভুক্ত আসামি।
পুলিশ জানিয়েছে, মারুফ হোসেন মুকুল ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ধানমন্ডি যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ‘ধানমন্ডির মুকুল’ বা ‘নানকের খলিফা’ নামেও পরিচিত। ৫ আগস্ট, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে গোপনে আশুলিয়া সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তার দলের লোকজন আশুলিয়া শ্রীপুরে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্মচারীদের সঙ্গে মিলে বেশ কিছু গাড়িতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর চালায়।
সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির যুগান্তরকে জানান, মুকুল বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে।
মুকুল, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের ছত্রছায়ায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় দারুল ইহসানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিকে বের করে দিয়ে প্রায় শত কোটি টাকা লুটপাট করে। গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ট্রাস্টিকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ সত্ত্বেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুবকর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। আশুলিয়ার এসি ল্যান্ড সাদিয়া আক্তার জানিয়েছেন, তিনি গত মাসে এই কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন এবং দারুল ইহসানের সম্পদ বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো নথি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
