হ-বাংলা নিউজ:
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একাধিকবার শিক্ষা কারিকুলাম ও পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে এখনও স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি। গবেষণা ও যাচাই-বাছাই ছাড়া শিক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে ফলপ্রসূ কিছু হয়নি এবং শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষক ও অভিভাবকরাও বিভ্রান্ত হয়েছেন। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ছাড়াও প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।
আগামী সপ্তাহে এই পরামর্শক কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন, শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানো, দুর্বল বা পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের মধ্যে পৃথক ব্যবস্থা রাখা, এবং বিদ্যালয়গুলোকে শেখার দিক বিবেচনায় লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে গ্রেডিং করার মতো সুপারিশ রয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, “পরামর্শক কমিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ হিসেবে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো এবং আলাদাভাবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করতে বলবো।” তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে এই সুপারিশের প্রতিবেদন দেওয়া হতে পারে।
