এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের জের

হ-বাংলা নিউজ:

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে দুই কম্পিউটার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এক আসামি সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ অভিযোগ করছে, কম্পিউটার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন গ্রুপ। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, দলবল নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই ব্যবসায়ী নেতার ওপর হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে, সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, হামলার ঘটনা দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে। এসব গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর এই দুই সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কম্পিউটার সিটির সামনে এহতেশামুল হককে ধারালো ছুরি ও চাপাতি দিয়ে গুরুতরভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়। একই সময়ে ওয়াহিদুল হাসান দিপুর ওপরও হামলা চালানো হয় এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এহতেশামুলকে ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এবং ওয়াহিদুল হাসান চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যান।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ওয়াহিদুল হাসান দিপু নিউমার্কেট থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনসহ আরও বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার দুপুরে আসিফ ও কাউসার মৃধাকে গ্রেফতার করে।

মামলায় জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর মালটিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল আসামিরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় এহতেশামুল ও ওয়াহিদুল হাসান তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, যার কারণে তারা হামলার শিকার হন।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, হামলার ঘটনাটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার, দখল এবং চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বের ফলস্বরূপ ঘটেছে। তাদের মতে, ইমন এবং হেলাল দুটি শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, হামলার ঘটনাটি সম্ভবত মালটিপ্ল্যান সেন্টারের নির্বাচনসংক্রান্ত বিরোধের কারণে ঘটেছে। তিনি আরও জানান, আসামিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে না।

এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, চাঁদাবাজি ও হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ মন্তব্য করেন এবং বলেন, সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *