হ-বাংলা নিউজ:
বৃহস্পতিবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাঠানো হয়। নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আশরাফুল ইসলাম সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৫ আগস্ট, অটোরিকশা চালানোর অজুহাতে তিনি বের হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন। বিক্ষোভের সময় সকালে প্রায় ১০টার দিকে হঠাৎ করে তার মাথায় গুলি লাগে। এরপর তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তাকে ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার কর্তৃক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপারেশনের পর তাকে দুই মাস আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু বলেন, চিকিৎসকদের প্রচেষ্টার পরেও আশরাফুল সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। ২৪ ডিসেম্বর তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং দুইটি ফুসফুসই আক্রান্ত হয়। রক্তচাপ কমে যায় এবং আবারও লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ৫ জানুয়ারি, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেন এবং ওই বোর্ড বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র জানায়, মাত্র তিন দিনের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ১১ জনকে উন্নত চিকিত্সার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বুধবার বিকালে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
