হ-বাংলা নিউজ:
মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে চলমান বিবাদের জেরে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের আশপাশে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা মসজিদে শক্ত অবস্থান নিয়ে মাওলানা সাদের অনুসারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
কাকরাইল মসজিদের আশপাশে শুক্রবার সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা সজাগ অবস্থানে ছিলেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মসজিদের আশপাশে স্থানীয় মুসল্লি ও মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা অবস্থান নেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে, মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা মসজিদের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন এবং গেটে অবস্থান নেওয়া সমর্থকরা জানান, “ভেতরে নামাজের জায়গা নেই। আশপাশের মসজিদে নামাজ পড়ে আসুন।” এতে করে মূল সড়ক কিছুটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে দুপুর ১টার দিকে, মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা একে একে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেন।
মসজিদের গেটে থাকা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা জানান, তারা মাওলানা সাদের অনুসারীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেবেন না।
রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম যুগান্তরকে জানান, কাকরাইল মসজিদে গত ৫-৬ বছর ধরে একটি নিয়ম ছিল যেখানে মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা ৪ সপ্তাহ, এরপর মাওলানা সাদপন্থীরা ২ সপ্তাহ অবস্থান নিতেন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই মসজিদে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। সাধারণ মুসল্লিরা যেভাবে নামাজ পড়েন, সেভাবে নামাজ পড়বেন।
তিনি আরও জানান, “আজকের পরিস্থিতি আমাদের জন্য একটি পরীক্ষার মতো ছিল। আমরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আমাদের পর্যাপ্ত সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং মাওলানা সাদপন্থিরা আসেননি। পরিস্থিতি ভালো ছিল এবং সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ পড়েছেন।”
বৃহস্পতিবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৭ ডিসেম্বর থেকে কাকরাইল মসজিদে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে এবং মাওলানা সাদ অনুসারীদেরও মসজিদে শবগুজারিসহ সব তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
